শেষবার তাঁকে মাঠে দেখা গিয়েছিল আবুধাবি টি১০-এ। গেল বছরের ৩০ নভেম্বর সেই ম্যাচে বাংলা টাইগার্সের হয়ে ব্যাটে কোনো রান করতে পারেননি, উইকেটও শিকার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মাঝে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। ছয় মাস পর আজ ফের ম্যাচে ফিরছেন সাকিব।

পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে নামবেন তিনি। গতকালই দুবাই থেকে লাহোর পৌঁছেছেন তিনি। সাকিবের মতো আজ মুস্তাফিজও ফিরছেন বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে। আইপিএলে গুজরাটের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে মুস্তাফিজের।

গতকাল শারজাহতে বাংলাদেশ-আমিরাত ম্যাচের পরপরই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা মুস্তাফিজের। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দিল্লির ম্যাচ নিজেদের মাঠে। সেখানে স্কোয়াডে থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে মুস্তাফিজের। কেননা এই ম্যাচের জন্য বাংলাদেশি পেসারকে নিতে বিসিবির কাছে আবেদন করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ। বিসিবি শুরুতে সিরিজ শেষে দুই ম্যাচের জন্য ছাড়তে চেয়েছিল মুস্তাফিজকে। দিল্লি চেয়েছিল, গ্রুপ পর্বে তাদের বাকি তিন ম্যাচের জন্য বাংলাদেশি পেসারকে খেলাতে। প্লে-অফে উঠতে হলে তাদের সামনে এ তিনটি ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লির হয়ে এর আগেও দুটি মৌসুম খেলেছিলেন মুস্তাফিজ।

অন্যদিকে সাকিবের কাছে লাহোর এবারই প্রথম। এর আগে পিএসএলে পেশোয়ার জালমি আর করাচি কিংসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। আজকের ম্যাচটি লাহোরের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। পেশোয়ারের কাছে হেরে গেলে বিদায় নিতে হবে। এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্যারেল মিচেলের জায়গায় নেওয়া হয়েছে সাকিবকে। এ ছাড়া বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে লাহোর কালান্দার্সে। রিশাদ হোসেন দলটির হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলে পারফর্ম করেছিলেন। দলের বিদেশি কোটায় স্যাম বিলিংস আর ডেভিস ভিসাও নেই। তাদের জায়গায় শ্রীলঙ্কার ভানুকা রাজাপক্ষে এসেছেন লাহোরে। 

সাকিবকে পেয়ে আশা দেখছে লাহোর। দলটির ফেসবুক পেজে সাকিবের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, ‘পিএসএলে আবার ফিরতে পেরে রোমাঞ্চিত। আশা করছি, আগামীকালের (আজকের) ম্যাচটি ভালো হবে। ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটির জন্য অপেক্ষা করছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন প এসএল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জে ঘরের সামনে ছুরিকাঘাতে দশম শ্রেণির ছাত্র নিহত

হবিগঞ্জ শহরে নিজের ঘরের সামনে ছুরিকাঘাতে জনি দাশ (১৭) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাঁর বড় ভাই জীবন দাশ (২২)। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে শহরের ডাকঘর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

এই হত্যাকাণ্ডের কারণ ও এর পেছনে কে বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। পুলিশ আজ সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ ও নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ব্যবসায়ী নর্ধন দাশ। আজ ভোর ৪টার দিকে ঘরের পাশে শব্দ শুনে তাঁর ছোট ছেলে জনি বাইরে বের হয়। কিছুক্ষণ পর বাগ্‌বিতণ্ডার আওয়াজ পেয়ে বড় ছেলে জীবন ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন জনির সঙ্গে অপরিচিত এক তরুণের ধস্তাধস্তি চলছে। এ সময় দুই ভাই বাধা দিতে চাইলে তাঁদের ছুরিকাঘাত করে ওই তরুণ পালিয়ে যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় জনি দাশকে হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত জীবন দাশ একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জনি দাশ হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার ভাই জীবন দাশ হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

আহত জীবন দাশ বলেন, রাতে ঘরের বাইরে শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন, তাঁদের বাসার সামনে অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের ধস্তাধস্তি চলছে। তিনি এগিয়ে গেলে ওই তরুণ তাঁকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দীন শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, ছুরিকাঘাতে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। অপরাধীকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তবে পুলিশ এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ