বাড্ডায় আগুনে দগ্ধ শিশু তানজিলার মৃত্যু, বাকি চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
Published: 18th, May 2025 GMT
রাজধানীর বাড্ডার আফতাব নগরে গ্যাসলাইনের লিকেজ (ছিদ্র) হয়ে ঘরে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চার বছর বয়সী শিশু তানজিলা মারা গেছে।
আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তানজিলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটটির আবাসিক সার্জন ডা.
এ ঘটনায় দগ্ধ তানজিলার বাবা তোফাজ্জল হোসাইন (৪৫), মা মানসুরা বেগম (৪৫) এবং তার দুই বোন মিথিলা (৭) ও তানিসা (১১) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে তোফাজ্জলের শরীরের ৮০ শতাংশ, মানসুরার ৬৭ শতাংশ, মিথিলার ৬০ শতাংশ এবং তানিসার ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। চারজনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
দগ্ধ তোফাজ্জল হোসাইন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক। পরিবার নিয়ে বাড্ডা থানাধীন আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগরে একটি ভবনের নিচতলার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ১৬ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজারের পাশে একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসাটিতে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে পুরো ঘরে গ্যাস জমে ছিল। তোফাজ্জল হোসাইন দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন লেগে যায়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ফ জ জল
এছাড়াও পড়ুন:
লালবাগে ছারপোকা মারার ওষুধের গ্যাসের প্রভাবে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগরে বাসায় ছারপোকা মারার ওষুধের বিষাক্ত গ্যাসের ক্রিয়ায় জীবন হোসেন (৪০) নামে একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী মারা গেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, জীবন হোসেন সপরিবার শহীদনগরে জে এস রোডে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল বুধবার বাসার সব কক্ষে ছারপোকার ওষুধ দিয়ে ব্যবসার কাজে বেরিয়ে পড়েন জীবন। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা আত্মীয়ের বাসায় যান।
রাতে বাসায় ফিরে জীবন নিজ কক্ষের দরজা–জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্বজনেরা এসে তাঁকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে জীবনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। উদ্ধার করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, জীবনকে অচেতন অবস্থায় বেলা সোয়া একটার দিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।
জীবনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পাকিয়া পাড়ায়।