উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন। গত ৮ জুন সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরে যান তিনি।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার ফুসফুসে পানি এসেছে। পানি সরানোর কাজ চলছে। ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আইসোলেটেড করে রাখা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।

পারিবারিক সূত্র আরও জানায়, ৮২ বছর বয়সী শেখ কবির হোসেন শারীরিকভাবে অক্ষম, স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। দীর্ঘদিন নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বিদেশ যাওয়ার আগে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ২০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বিদেশ পাঠানো হয়।

শেখ কবির দীর্ঘ দিন দেশের বিমা খাতের উন্নয়নে কাজ করেন। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিমা কোম্পানির মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি রেড ক্রিসেন্টে ও লায়ন্স ক্লাবের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।

বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,  এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ