টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে দুই টেস্টের সিরিজ নিয়ে আশার ভেলা ভাসিয়েছেন। দেশ ছাড়ার আগে হয়তো শান্ত জানতেন, তিনি ওয়ানডের অধিনায়কও। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ওয়ানডে দল নিয়ে হয়তো আলোচনা করে গেছেন। 

আবার বোর্ডের পক্ষ থেকে বলেও দেওয়া হতে পারে- ‘তুমি আর ওয়ানডের নেতৃত্বে থাকছো না।’ শান্ত বিষয়টি জানেন কিনা তা জানা না গেলেও ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক মিরাজ জানিয়েছেন, কালই তাকে ডেকে বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ‘তুমি অধিনায়ক।’ 

শ্রীলঙ্কায় টেস্ট দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে শুক্রবার ওয়ানডের নেতৃত্বভার পাওয়া মিরাজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে নেতৃত্ব পাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ওর (শান্ত) সঙ্গে ওয়ানডে দল নিয়ে আলোচনা করেছে কিনা জানি না। (নেতৃত্বের বিষয়ে) কালকেই আমাকে ফাহিম স্যার বলেছেন- তোমাকে নিয়ে আমরা (অধিনায়ক হিসেবে) চিন্তা করছি। ওয়ানডের দলটা সেট করতে হবে। তোমাকে নিয়ে ওভাবেই প্লান করেছি।’

শান্তর নেতৃত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। টেস্টে তা বাড়ানো হলেও ওয়ানডেতে বাড়ানো হয়নি। মিরাজের মতে, শান্ত ভালো পারফর্ম করেছে। তবে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতান্তই বোর্ডের, ‘ও (শান্ত) নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অধিনায়ক ছিল। মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর হয়তো ওকে দুই-একটা সিরিজ চালাতে বলা হয়েছিল। আমি মনে করি, ব্যাটার হিসেবে শান্তর পারফরম্যান্স  ভালো ছিল। শেষ পর্যন্ত এটা বোর্ডর সিদ্ধান্ত।’

মেহেদী মিরাজ জাতীয় দলে এসে মাশরাফি মর্তুজার অধীনে খেলেছেন। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। আবার বন্ধু ও সতীর্থ শান্তর অধীনেও খেলেছেন। এসব অভিজ্ঞতা অধিনায়ক হিসেবে কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘আমি অনেক অধিনায়কের অধীনে খেলেছি। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে, তাদের থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। যেটা আমার অধিনায়কত্বে কাজে লাগাতে পারবো।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কলাপাড়ায় বসতঘর থেকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের নিজ ঘর থেকে নাসিমা আক্তার নামের (১৫) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নাসিমা আক্তার এ বছর মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন নাসিমার বাবা মোজাম্মেল হক নিজ কাজে বরিশাল যান। দুপুরে মা নাজমা বেগম সবাইকে নিয়ে দুপুরের খাওয়ার পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে মেয়েকে বকাঝকা করেন। এরপর সন্ধ্যার কিছু আগে ছোট ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে পাশের বাড়িতে যান। ঘণ্টাখানেক পর বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখেন তার মেয়ে বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। মা ও ভাইয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় চৌকিদার রাত ১০টার দিকে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে কলাপাড়া থানায় নিয়ে যায়।

কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ