ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য ঘোষণা করা ম্যানচেস্টার সিটির চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পাননি ইংলিশ তারকা জ্যাক গ্রিলিশ। গত কয়েকদিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। ক্লাবের ঘোষণায় সেটিই সত্যি হলো। ২৭ সদস্যের দলে গ্রিলিশকে বাদ দিয়েই তালিকা প্রকাশ করেছে সিটি।

এক সময়ের ১৩৫.৪ মিলিয়ন ডলারে দলে যোগ দেওয়া গ্রিলিশের স্কোয়াডের বাইরে থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন আলোচনা। বিশেষ করে এমন সময়ে তাকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত, যখন গ্রীষ্মকালীন দলবদলের মৌসুম ঘনিয়ে এসেছে। 

ইএসপিএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খুব শিগগিরই ক্লাব ছাড়তে পারেন গ্রিলিশ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এভারটনসহ কয়েকটি ক্লাব ও বিদেশি দল তার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা মৌসুমের শেষ ম্যাচ শেষে বলেন, নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগ পেতে হলে কেউ কেউ ক্লাব ছাড়তে পারে। সেই মন্তব্যকেই অনেকে গ্রিলিশকে ইঙ্গিত করে বলা মনে করছেন। গ্রিলিশ ছাড়াও স্কোয়াডে নেই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। যদিও তার সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সিটির চুক্তি রয়েছে, তবুও জানুয়ারিতে ধারে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে যোগ দেন তিনি। এদিকে মিডফিল্ডার জেমস ম্যাকআটিও দলে নেই, কারণ তিনি এই সময়ে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের অধিনায়কত্ব করছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।

আগামী ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। গার্দিওলার দল নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ১৮ জুন, যেখানে তারা মরক্কোর ক্লাব উইদাদ এসির মুখোমুখি হবে ফিলাডেলফিয়ায়।

ম্যানচেস্টার সিটির ক্লাব বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

গোলরক্ষক: মার্কাস বেটিনেলি, স্টেফান ওর্তেগা, এডারসন

ডিফেন্ডার: রুবেন দিয়াজ, জন স্টোন্স, নাথান আকে, রায়ান আইত-নুরি, ভিতোর রেইস, জোশকো গভার্দিওল, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, আবদুলকাদির খুসানোভ, রিকো লুইস

মিডফিল্ডার: নিকো গঞ্জালেজ, রদ্রি, তিজ্জানি রেইজেন্ডার্স, ইলকায় গুন্দোয়ান, বার্নার্দো সিলভা, ম্যাথিউস নুনেস, রায়ান চেরকি, ক্লদিও এচেভেরি, ফিল ফোডেন, অস্কার বব, নিকো ও’রেইলি

ফরোয়ার্ড: ওমর মারমুশ, আরলিং হালান্ড, সাভিনহো, জেরেমি ডকু।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসির বিমানবাহিনীর প্রধান নিহত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরানে আগের রাতে চালানো বিমান হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিতে হাজিজাদেহ ও তাঁর শীর্ষ সহকর্মীরা একটি ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারে বৈঠক করছিলেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় পুরো সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের ড্রোন ইউনিট ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডাররা রয়েছেন।

আইডিএফের দাবি, ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মূল নেতৃত্বে ছিল আইআরজিসির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। তারা গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল।

আরও পড়ুনকয়েক দশকের ছায়া যুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইসরায়েল ও ইরান৩ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলের দাবি, ২০১৯ সালে সৌদি আরবে জ্বালানি স্থাপনায় আলোচিত ড্রোন হামলার নেতৃত্ব দেন আইআরজিসির এই কর্মকর্তারা।

তেহরান টাইমসের এক প্রতিবেদনে আমির আলী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, এই হামলাকে ‘নৃশংস ও সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড। ১৬ বছর ধরে আইআরজিসির বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হাজিজাদেহ। ইরানের সামরিক কৌশলের অন্যতম প্রধান পরিকল্পকারী ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সক্ষমতা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছায়।

আইআরজিসির বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অপরাধ আমাদের জাতিকে দুর্বল করবে না, বরং প্রতিশোধের সংকল্প আরও দৃঢ় করে তুলবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ