ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্লভ আকাশ নিম বৃক্ষটি হুমকির মুখে
Published: 12th, June 2025 GMT
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন জনঅরণ্য অধ্যুষিত ঢাকা মেগা সিটির ভেতর এক সবুজ নন্দনকানন। ২৭৫ একর জায়গাজুড়ে ক্যাম্পাসের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বনজ, ফলদ, শোভাবর্ধক, ঔষধি ও দুর্লভ প্রায় ৭০০ প্রজাতির গাছগাছালি।
আপনি যদি দোয়েল চত্বর থেকে পশ্চিম দিকে যেতে থাকেন তাহলে মোকাররম ভবনের গেটের সিকিউরিটি গার্ডঘর সংলগ্ন ২০ মিটারের মতো উঁচু একটি বৃক্ষ দেখতে পাবেন। এটি ‘আকাশ নিম’ (বৈজ্ঞানিক নাম- Millingtonia hortensis এবং ইংরেজি- Indian Cork Tree) দুর্লভ প্রজাতির বৃক্ষ। বর্তমানে সারাদেশে মাত্র কয়েকটি বৃক্ষ আছে। বৃক্ষটি সাধারণত ২০ থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। কাণ্ড সোজা, বাকল অমসৃণ, কর্কের মতো খসখসে। যৌগিকপত্র, পত্রফলক ৪-৫ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২-৩ সেন্টিমিটার চওড়া, অগ্রভাগ সরু, দু’পাশ খাঁজযুক্ত। ফুল গুচ্ছাকারে ফোটে, ছোট আকারের, দল মণ্ডল সাদা। বীজ চাকতির মতো।
নভেম্বর-মার্চ মাসের দিকে ফুল-ফল ধরে। বাংলাদেশের বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় দেখা যায়। আকাশ নিম শোভাবর্ধক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ভেষজ গুণাগুণও বিদ্যমান। বৃক্ষটির বাকল ও পাতা থেকে কারসিমার্টিন, নিরোলিডল, পেন্টাকোসান, লিনারিজেনিন লিনালুল নামক রাসায়নিক যৌগ পাওয়া যায়; যা ক্যান্সার ও হৃদরোগে উপকারী। তাছাড়া ফুল থেকে সংগৃহীত এসেনসিয়াল অয়েল ম্যাসাজ, এয়ার ফ্রেশনার ও অ্যারোমাথেরাপিতে পুরু বাকল এবং পানীয় বোতলের কর্ক বা ছিপি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বৈদ্যুতিক তারের কারণে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশ নিম গাছটির ডাল কাটা পড়ে। ঝোড়েও দু’একটি ডাল ভেঙে গেছে। ফলে বৃক্ষটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্লভ আকাশ নিম বৃক্ষটি হুমকির মুখ থেকে বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে নতুন চারা রোপণ এবং দেশব্যাপী বিস্তার জরুরি।
/পোস্ট ডক্টর রিসার্চ ফেলো, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রক ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান চুক্তি না করলে ইসরায়েল আরো নৃশংস হামলা চালাবে: ট্রাম্প
ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন যে তিনি ইরানকে "একের পর এক সুযোগ’ দিয়েছেন।
আগামী রবিবার ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি বিষয়ক ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই আলোচনার আগেই এই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি শুক্রবার (১৩ জুন) ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, "আমি তাদের শক্ত ভাষায় বলেছি যে এটি করো, কিন্তু তারা করেনি।’
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন: ট্রাম্প
ইরান উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন কর্মী সরানোর নির্দেশ ট্রাম্পের
“ইতোমধ্যে অনেক প্রাণহানি ও ধ্বংস সাধিত হয়েছে। কিন্তু এই রক্তপাত বন্ধ করার এখনো সময় আছে। কারণ এর পরের হামলাগুলো আরো ভয়াবহ হতে যাচ্ছে,” তিনি বলেন।
“সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে ইরানকে অবশ্যই চুক্তিতে আসতে হবে। যেটিকে এক সময় পারস্য সাম্রাজ্য বলা হতো, সেটিকে রক্ষা করো। আর কোনো মৃত্যু নয়, আর কোনো ধ্বংস নয়, এটি করো, নইলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, ইরানে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, এই হামলার পরিকল্পনার কথা তিনি আগে থেকেই জানতেন। তবে তিনি এটি স্পষ্ট করেছেন যে এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কোনোভাবেই অংশ নেয়নি।
সূত্র: বিবিসি
ঢাকা/সাইফ