দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুরের বড়স্টেশন ঘাটে এখনো ইলিশের ডিম মিলছে না। এতে অনেকের ইচ্ছা থাকার পরও ডিম কিনতে পারছেন না।

বুধবার (১৮ জুন) বড়স্টেশন ঘাটে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। অথচ অন্য সময় এখানে থালায় সাজিয়ে কেজি দরে ইলিশের ডিম বিক্রি করা হয়। এখানে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা কেজিদরে ডিম বিক্রি হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার জানান, এখনো ইলিশ তেমন ধরা পড়ছে না। দামও তুলনামূলক বেশি। ঘাটে যে পরিমাণ ইলিশ আসার কথা তা এখনো আসা শুরু হয়নি। এই সময়ে এত দাম দিয়ে কেউ ইলিশের ডিম বের করে বিক্রি করার সাহস করছে না। তবে ডিমওয়ালা কিছু বড় ইলিশ বাজারে রয়েছে। কেউ চাইলে সেই ইলিশ কিনে ডিমের স্বাদ নিতে পারেন।

আরো পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে নামলেও ইলিশ মেলেনি

পটুয়াখালীর আড়তে ইলিশের কেজি ২৫০০ টাকা 

তিনি আরো জানান, এক কেজি ডিম বের করতে হলে ১০-১২ কেজি ইলিশ কাটতে হয়। এখনো ঘাটে চারদিক থেকে ইলিশ আসা শুরু হয়নি। হয়ত মাসখানেক পর যখন আসবে, তখন দাম কমবে। সেই সময় ইলিশের ডিম বের করা শুরু হলে ক্রেতারাও পুরোদমে পাবেন।

প্রতি মৌসুমে চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে হু হু করে দাম বাড়ানো হয়। এতে ইলিশের ডিম কেজিপ্রতি ৩৩০০ হতে ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হয়।

হাজী মোহাম্মদুল্লা খান লোনা এবং ডিম সংরক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক আজিজুল হক আকাশ জানান, এখনো পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কম। এই প্রতিমণ ইলিশ থেকে ৫-৬ কেজি ডিম পাওয়া যায়। তাই দক্ষিণাঞ্চলের বঙ্গোপসাগর থেকে আসা ইলিশের ডিম দিয়ে চাহিদা মেটাতে হয়। পদ্মা, মেঘনা নদীর ইলিশের স্বাদ বেশি।

তিনি আরো জানান, এ বছর এখনো সেই পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে না। সেই জন্য দামও বেশি। এত বেশি দামের ইলিশ কিনে কেউ ডিম বের করে বিক্রি করছে না। 
 

ঢাকা/অমরেশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ম ব র কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপ অন্যায়, অন্যায্য ও অযৌক্তিক: ভারত

ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে অন্যায়, অন্যায্য ও অযৌক্তিক আখ্যায়িত করেছে ভারত। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ ভারত নেবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বুধবার ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর আগে দেশটির ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার কারণে ‘জরিমানা’ হিসেবে অতিরিক্ত এই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এই দুটি মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।

আরও পড়ুনভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের, মোট দাঁড়াল ৫০২ ঘণ্টা আগে

হোয়াইট হাউস অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে। আমরা ইতিমধ্যে এসব বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। ঘটনা হলো আমাদের আমদানি নির্ভর করে বাজারের ওপর। আর এটা করা সার্বিকভাবে ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করছে এমন সব পদক্ষেপের জন্য, যেগুলো আরও বেশ কয়েকটি দেশ নিচ্ছে তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার জন্য।’

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের দিন জানা গেল চীন যাচ্ছেন মোদি১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ