রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জাবি আলোনসোর শুরুটা মনের মতো হয়নি। ক্লাব বিশ্বকাপে আলোনসোর প্রথম ম্যাচে আল হিলালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে রিয়াল। নিজের প্রথম ম্যাচে জয় না পেয়ে আলোনসো এখন আরও সতর্ক।

এমনকি অনুশীলনে এনেছেন নতুনত্ব এবং শরণাপন্ন হয়েছে প্রযুক্তির। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট পাম বিচে অনুষ্ঠিত অনুশীলন সেশনে জাবি আলোনসো প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করেছেন।

জানা গেছে, ড্রোনটি দিয়ে রিয়ালের খেলোয়াড়দের অনুশীলনের সময় ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। আর এই ভিডিও ফুটেজগুলো ব্যবহার করে আলোনসো ও তাঁর কোচিং স্টাফরা দলের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে অতিরিক্ত এবং সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখবেন।

আরও পড়ুনভিনিসিয়ুসকে চিনতে আলোনসোর লেগেছিল মাত্র ১০ সেকেন্ড১৯ জুন ২০২৫

রিয়ালে আলোনসোর পূর্ববর্তী কোচ কার্লো আনচেলত্তি কখনো এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন বলে জানা যায়নি। তবে আলোনসোর এমন উদ্ভাবনী চিন্তাধারা একেবারে নতুন নয়। এর আগে বায়ার লেভারকুসেনে থাকার সময়ও অনুশীলন মাঠজুড়ে ক্যামেরা ব্যবহার করে আলোচনায় এসেছিলেন আলোনসো। তবে ড্রোন ব্যবহার করা একেবারেই নতুন কিছু।

এখন অপেক্ষা, আলোনসোর অধীন রিয়ালে ড্রোন ব্যবহার নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয় কি না তা দেখার! তবে প্রথম দিনের ড্রোনটি সবার ওপর ব্যবহার করা হয়নি। ড্রোনটি শুধু ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলেননি, এমন যুব খেলোয়াড় ও বদলি খেলোয়াড়দের অনুশীলন সেশন ধারণ করেছে। দলের বাকি সদস্যরা তখন অন্যত্র জিম সেশনে ব্যস্ত ছিলেন।

ক্লাব বিশ্বকাপের পুরোনো সংস্করণে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল পরের ম্যাচ খেলবে মেক্সিকান ক্লাব পাচুয়ার বিপক্ষে। আগামীকাল রোববার রাত ১টায় শার্লটের মাঠ ব্যাংক অব আমেরিকায় মুখোমুখি হবে এ দুই দল। এই ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরতে মরিয়া আলোনসো।

আরও পড়ুনঝড় ও গোলবন্যার রাতে দি মারিয়া যেখানে শীর্ষে২ ঘণ্টা আগে

তবে প্রথম ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ নিয়ে সতর্ক থাকার কথাই বলেছিলেন তিনি, ‘এই গ্রুপের প্রায় সব কোচই নতুন। পাচুকার ক্ষেত্রেও যেমন, আমার ক্ষেত্রেও তেমন। লোজানো (পচুয়ার কোচ জাইমে লোজানো) আগের ম্যাচে মাদ্রিদের বিপক্ষে ছিলেন না। তারা ভালো দল, তাই ম্যাচটা কঠিনই হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড র ন ব যবহ র প রথম ম য চ ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ‍উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে

রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”

আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”

হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”

স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ