ফরিদপুরে জাল নিবন্ধনে বাল্যবিবাহ, কনের মা ও কাজির জরিমানা
Published: 21st, June 2025 GMT
ফরিদপুরে জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার ঘটনায় কনের মা ও কাজিকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের চকবাজার জামে মসজিদসংলগ্ন কাজি অফিসে অভিযান চালান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান।
অভিযানে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন লঙ্ঘনের দায়ে কাজি মো.
১২ জুন বায়তুল আমান এলাকায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর বয়স জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বাড়িয়ে বিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর বিকেলে ইউএনও কনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর রাতেই কাজির কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, নানা অভিযোগের কারণে এর আগে নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) কামরুল হাসানের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়। তবে তিনি উচ্চ আদালতের আদেশে আবারও কার্যক্রম শুরু করেন, যার মেয়াদ ছিল ৮ জুন পর্যন্ত।
ইউএনও ইসরাত জাহান বলেন, এক কিশোরীর বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে বাড়িয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি কাজির অনিয়মের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠানো হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।
বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মিলন/বকুল