ফরিদপুরে জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার ঘটনায় কনের মা ও কাজিকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের চকবাজার জামে মসজিদসংলগ্ন কাজি অফিসে অভিযান চালান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান।

অভিযানে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন লঙ্ঘনের দায়ে কাজি মো.

কামরুল হাসানকে (৪৮) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে বিকেলে শহরের বায়তুল আমান এলাকায় কনের মাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

১২ জুন বায়তুল আমান এলাকায় ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর বয়স জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বাড়িয়ে বিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর বিকেলে ইউএনও কনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর রাতেই কাজির কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

জানা গেছে, নানা অভিযোগের কারণে এর আগে নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) কামরুল হাসানের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়। তবে তিনি উচ্চ আদালতের আদেশে আবারও কার্যক্রম শুরু করেন, যার মেয়াদ ছিল ৮ জুন পর্যন্ত।

ইউএনও ইসরাত জাহান বলেন, এক কিশোরীর বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে বাড়িয়ে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুজনকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি কাজির অনিয়মের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠানো হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

মাটিরাঙ্গা সীমান্তসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশি গ্রাম পুলিশের মৃত্যুর অভিযোগ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মো. হানিফ মিয়া (৪৫) নামের এক বাংলাদেশি গ্রাম পুলিশের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। ইউএনও বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানার পর বিজিবি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুজন ব্যক্তি হানিফ মিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তে এক ব্যক্তির মরদেহের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী পারভিন আক্তার ভিডিওটি দেখে মরদেহটি তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেন। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ ওসমান আলী। তিনি জানান, যাঁরা হানিফ মিয়াকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজনের নাম বেলাল। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হানিফ মিয়ার দুই হাত পেছন থেকে বাঁধা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হানিফ মিয়াসহ পাঁচ ব্যক্তি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশ করলে বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দেয়। এতে অন্য চারজন ফিরে আসেন, কিন্তু হানিফ মিয়া আটক হন। পরে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে নিহত ব্যক্তির ছেলে ও শ্যালক পুলিশকে জানান, ভিডিওতে দেখা ব্যক্তিটি নিখোঁজ হানিফ মিয়া। মরদেহটি বর্তমানে ভারতের কোথায় আছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হানিফ মিয়া তবলছড়ি ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য ছিলেন। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তাঁর মরদেহ এখনো ভারতের ভেতরে রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড
  • মাটিরাঙ্গা সীমান্তসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশি গ্রাম পুলিশের মৃত্যুর অভিযোগ
  • বান্দরবানের দেবতাখুমে পর্যটক ভ্রমণে এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা