বিএনপির পথসভায় ‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানালেন ছাত্রদল নেতা
Published: 21st, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপির এক পথসভায় নেতা-কর্মীদেরে মুজিবীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ছাত্রদল নেতার নাম নাহিদ হাসান। তিনি উপজেলার প্রহল্লাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি।
শুক্রবার (২০ জুন) এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল সরকার। সম্প্রতি ফেসবুকে নাহিদ হাসানের সাত সেকেন্ডের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। তবে, ভিডিওটি কবের সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
ভিডিওতে নাহিদ হাসানকে বলতে শোনা গেছে, ‘‘স্থানীয় প্রহল্লাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’’ এ সময় ওই ছাত্রদল নেতার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন পথসভায় উপস্থিত থাকা বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা। পরে তাকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
তারেক রহমানের বাংলাদেশে কোনো বাড়ি নেই: বিএনপি নেত্রী
খুলনায় বিএনপি-যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
বিএনপির পথসভায় ছাত্রদল নেতা ‘মুজিবীয় শুভেচ্ছা’ জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ছাত্রদলের নেতা কীভাবে এমন বক্তব্য দেন?
বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, নাহিদ হাসান পূর্বে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে নানা তদবির ও জেলার সুপারিশে তিনি ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে নাহিদের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমিনুল সরকার বলেন, “কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াউল করিম রিফাত বলেন, “ঘটনাটি পুরনো হলেও আলোচিত। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।”
ঢাকা/রফিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল র ব এনপ র পথসভ য় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের মতো নির্বাচন হলে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে: গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সর্বশেষ তিনটি (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) বছরের মতো হলে জাতির ভাগ্যে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে। আজ শনিবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ করুন। প্রত্যেক প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পেয়ে নির্বাচনী কাজ করতে পারেন। অতীতে যারা কোনো বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করেছেন, সেসব ওসি ও এসপি পালিয়ে গেছেন। তাঁরা এখন ট্রাইব্যুনালে হাজির। প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের খতিব, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনারও পালিয়ে গেছেন। ওসিরা চাকরি ছেড়ে বর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়া চলে গেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধেও যদি সেই অভিযোগ আসে, আপনারা কিন্তু পালানোর পথ পাবেন না।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫৪ বছরে অনেক দল ও মার্কা দেখেছি। নৌকা, লাঙ্গল, ধানের শীষ দেখেছি। প্রতিটি শাসনে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে; ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অন্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। সুতরাং মানবরচিত বিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হলে দেশে শান্তি আসতে পারে না, এটি প্রমাণিত। তাই আসুন ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের রাষ্ট্র গড়ি।’
জামায়াতে সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ইতিমধ্যে নতুন প্রজন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন এনেছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতি আগামী নির্বাচনেও দেশে একটি পরিবর্তন আনবে ইনশা আল্লাহ।
খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে ওই পথসভার পর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, খর্ণিয়া, চুকনগর, আঠারোমাইল, রুদাঘরা, রঘুনাথপুর, শাহপুর, ধামালিয়া, জামিরা, ফুলতলা, দামোদর হয়ে শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
খুলনার জিরো পয়েন্টের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানার আমির জি এম আবদুল গফুর। সেখানে বক্তৃতা দেন খুলনা-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির ও সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসাইন, ডুমুরিয়া উপজেলার আমির মোক্তার হোসেন, ফুলতলা উপজেলার আমির আবদুল আলিম, খানজাহান আলী থানার আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ, হরিণটানা থানার সেক্রেটারি ব ম মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।