আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। ভিলা পার্কে ক্লাবের শেষ ম্যাচে বিদায়ী বার্তা দিতে পরিবার নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। 

অ্যাস্টন ভিলা ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে আপাতত ক্যারিয়ার নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তায় আছেন মার্টিনেজ। নতুন মৌসুমে কোন ক্লাবে খেলবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

সংবাদ মাধ্যম দি সান দাবি করেছে, আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষক স্বপ্নের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যেতে চান। ক্লাবটির পর্তুগিজ কোচ রুবেন আমেরিমও নাকি তাকে দলে নিতে আগ্রহী। দি সানের মতে, কোচ আমোরিম দলে এমির মতো অধিনায়ক ও নেতাকে চান। 

কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে এখনো বলার মতো কোন আলোচনা শুরু হয়নি। এর আগে মার্টিনেজের বার্সেলোনায় যাওয়ার গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু কাতালানরা তরুণ স্প্যানিশ কোচ হুয়ান গার্সিয়াকে দলে নিয়েছে। মার্টিনেজের তাই বার্সায় যাওয়ার আর সুযোগ নেই। 

ওদিকে সৌদি প্রো লিগ থেকে আর্জেন্টিনার এই পেনাল্টি বিশেষজ্ঞকে চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বেশ আগেই। তবে আগামী বিশ্বকাপ মাথায় রেখে সৌদি লিগে যেতে চান না তিনি। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে সেরা ছন্দ ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চান এই গোলরক্ষক। 

এমি মার্টিনেজকে দলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তুর্কি ক্লাব গালাতাসারায়ে। উরুগুইয়ান গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা ক্লাব ছাড়ছেন। তার জায়গায় মার্টিনেজকে দলে নিতে চাইলেও আলবিসেলেস্তে গোলরক্ষক ওই প্রস্তাবেও সাড়া দেননি। 

ওদিকে ম্যানইউ এক মৌসুমে আগে ইন্টার মিলান থেকে মোটা অঙ্কের অর্থে কেনা সেনেগালিচ গোলরক্ষক ওনানাকে ছেড়ে দিতে চায়। তার অবাক করা সব মিসে বিরক্ত কোচ ও ভক্তরা। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ওনানাকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফ্রেঞ্চ ক্লাব মোনাকো।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এম ল য় ন ম র ট ন জ ফ টবল দলবদল

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নরসিংদীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ‍উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে, দেখা দিচ্ছে শয্যা সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার মশা নিধনে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কারের জন্য পৌরসভার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় ১০০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। অক্টোবর মাসের প্রথম তিনদিনে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিনই জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আসছেন রোগীরা। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদেরকেই ভর্তি করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

বাঁশবাগানে পাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে

রোগীর স্বজন নাসরিন আক্তার বলেন, “আমার ভাই পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। প্রথমে বুঝতেই পারিনি তার ডেঙ্গু হয়েছে। এখন প্লাটিলেট কমে গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবস্থা গুরুতর। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য করছেন, শয্যার সংকট আর ওষুধের জোগান সবসময় মেলে না।”

আরেক রোগীর বাবা মো. সাহেব আলী বলেন, “আমার ছোট ছেলের বয়স ১০ বছর। জ্বর নিয়ে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। ওর ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। হাসপাতালে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আমরা গরিব মানুষ, ছেলেকে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সমর্থ্য নেই।”

হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ এক রোগীর চাচা মাহবুব হোসেন বলেন, “হাসপাতালে জায়গা হচ্ছে না। ডেঙ্গু যে এত ভয়াবহ হবে বুঝতে পারিনি। প্রশাসন যদি আগে ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন অবস্থা হতো না।”

স্থানীয় কলেজছাত্র জুবায়ের হোসেন বলেন, “জুলাইয়ের শেষ দিক থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে, অথচ পৌরসভা থেকে মশা নিধনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়নি অনেকদিন। আমরা খুব চিন্তায় আছি। শুধু ওষুধ আর হাসপাতাল দিয়ে এই রোগ ঠেকানো যাবে না। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন কারণে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসছেন জ্বর নিয়ে। অনেকেরই অবস্থা গুরুতর। সীমিত সামর্থ্যে আমরা চেষ্টা করছি সাধ্যমতো সেবা দিতে। রোগীর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।”

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ