Samakal:
2025-06-22@12:27:10 GMT

প্রথমবার একসঙ্গে অপি ও তাহসান

Published: 22nd, June 2025 GMT

প্রথমবার একসঙ্গে অপি ও তাহসান

অভিনেত্রী, মডেল অপি করিম ও সংগীতশিল্পী, অভিনেতা তাহসান খান বেশ লম্বা সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন। দু’জনে একসঙ্গে কোনো নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনের কাজে দেখা যায়নি। এই দুই তারকাশিল্পী এবার কাজ করেছেন একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে। 

সিমপ্লেক্স করপোরেশন লিমিটেডের চেংহুং এসির বিজ্ঞাপনে তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে। বিজ্ঞাপনটি নির্দেশনা দিয়েছেন ছোটপর্দার গুণী নির্মাতা সাগর জাহান। 
সম্প্রতি রাজধানীর বনশ্রীতে এর দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। অপি-তাহসান ছাড়াও এতে মডেল হিসেবে রয়েছেন সাদিয়া তানজিন, রাই রাজন্য ও মেহেজাবিন নুর। শিগগিরই বিজ্ঞাপনটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার হবে।

বিজ্ঞাপনে কাজের বিষয়ে অপি করিম বলেন, ‘সাগর জাহানের সঙ্গে বহু বছর নাটকে কাজ করিনি। নতুন বিজ্ঞাপনে কাজ করতে এসে তা একবারও তা মনেই হয়নি। আগের মতোই বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই তাঁর সঙ্গে বিজ্ঞাপন চিত্রটির কাজ শেষ করেছি।’ তাহসান খান বলেন, ‘লম্বা বিরতির পর সাগর জাহানের সঙ্গে কাজ হয়েছে। এটি তাঁর প্রথম বিজ্ঞাপন। নাটকের মতো বিজ্ঞাপনেও তাঁর সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পেয়েছি। আশা করছি, বিজ্ঞাপন চিত্রটি সবার পছন্দ হবে।’ 

সাগর জাহান বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকে অপি করিম ও তাহসান খানকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করার ইচ্ছা ছিল। দুইজনের একসঙ্গে ডেট পাওয়া যাচ্ছিল না বলে কাজটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। তাদের দুইজনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল অনেকদিনের। তবে নাটকে নয়, অবশেষে বিজ্ঞাপনে তাদের জুটি করে কাজ করেছি। পরিচালনা ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক নির্মাণ করলেও প্রথমবার বিজ্ঞাপন বানানোর সুযোগ হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মূল ভাবনা আমারই। বড় একটি টিম কাজ করেছে। তাহসান ও অপির সঙ্গে আলাদা আলাদা কাজ হয়েছে। সে সুবাদে তাদের সঙ্গে সুম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিজ্ঞাপনে কাজ করে আরও ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর অপির সঙ্গে কাজ হলো। তাহসান খানের সঙ্গে অসংখ্য নাটক করেছি। তাঁর সবকিছুতেই ভালোলাগা ফিল হয়। এবার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথমবার বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বলে অনেক শঙ্কার মধ্যে ছিলাম। তারা দুইজন আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছেন বলে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার পথচলায় নতুন একটি দিক উন্মোচিত হলো।’ 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর ছ একসঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

কেউ হতে চান হামজা, কেউ ঋতুপর্ণা

হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশে এখন কে না চেনেন! রংপুরের আতিকুর রহমান আজ ঢাকায় এসেছিলেন অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে। দিন দশেক আগে যে মাঠে খেলেছিলেন হামজা-শমিতরা, সেই জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ বল পায়ে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন আতিকুর-রিয়াদরা।

বালক বিভাগে ৮০ মিনিটের লড়াইয়ে ২-২ সমতার পর টাইব্রেকারে ময়মনসিংহ বিভাগকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে রংপুর বিভাগ। আর বালিকা বিভাগে ৬০ মিনিটের ম্যাচে ময়মনসিংহ বিভাগকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতেছে রাজশাহী বিভাগ।

দেশসেরা হওয়ার পর সবার চোখে একটাই স্বপ্ন—জাতীয় দলে খেলা। সেই স্বপ্নের পথে দাঁড়িয়ে আতিকুর জানালেন, হামজাকে কতটা পছন্দ তাঁর। ৪ ও ১০ জুন বাংলাদেশের জার্সিতে ঢাকায় দুটি ম্যাচে খেলেছেন হামজা। অনেক ইচ্ছা থাকার পরও আতিকুর গ্যালারিতে বসে দেখতে পারেননি তাঁর ম্যাচ।

আজ সেই গ্যালারি থেকে আতিকুরদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন দর্শক। আগ্রহ যেন এতে আরও বাড়ল। ম্যাচের পর প্রথম আলোকে বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে, এখানে এই মাঠে খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। হামজা ভাইকে আমার অনেক পছন্দ। তাঁর মতো ফুটবলার হতে চাই।’

শুধু আতিকুর নন, ২ গোল করে বালক বিভাগে সেরা গোলদাতা হওয়া রিয়াদেরও আশা জাতীয় দলে খেলা। ছেলেদের মতো মেয়েরাও অনেক দূর যেতে চান। রাজশাহীর হয়ে ফাইনালে জোড়া গোল করা মৌসুমীর হাতে উঠেছে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। সেরা হয়ে বেশ আনন্দিত মৌসুমী, ‘আমি খুবই খুশি। আমার ২ গোলে রাজশাহী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রথমবার ফাইনালে এসেই জিততে পেরেছি। সামনে আরও ভালো করতে চাই, জাতীয় দলে খেলার অনেক ইচ্ছা আমার।’ আর টুর্নামেন্ট–সেরা আলেয়া তো বলেই দিলেন, ঋতুপর্ণা-রিপাদের মতো হতে চান।

মৌসুমী-আলেয়াদেরও খেলা ভালো লেগেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমানের। কাল মাঠে বসে ম্যাচ দেখেই কয়েকজনের নাম টুকে নিয়েছেন নিজের নোটবুকে। এরপর জানিয়েছেন তাঁদের নিয়ে ভাবনার কথা, ‘আগস্টে ভুটানে অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই টুর্নামেন্টের জন্য আমাদের আরও কিছু ফুটবলার লাগবে।’

এ টুর্নামেন্ট থেকে এরই মধ্যে ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছেন দুজন। একজন ঢাকা বিভাগের সাবিনা আক্তার, আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের মামনি চাকমা। বিবেচনায় আছেন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহীর সালেহা, সাদিয়া ও আলেয়া। তাঁদের জন্যও অনূর্ধ্ব-১৭ বা অনূর্ধ্ব-২০ দলের দুয়ার খুলে যেতে পারে।

ক্রীড়া পরিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ২০১৮ সালে প্রথম হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট, প্রথমবার শুধু বালক বিভাগের প্রতিযোগিতা হয়। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর। ২০১৯ সালে যোগ হয় বালিকা বিভাগের প্রতিযোগিতাও। শুরু থেকে টুর্নামেন্টের নাম ছিল বালক বিভাগে বঙ্গবন্ধু ও বালিকা বিভাগে বঙ্গমাতা ফুটবল। মাঝে ২০২২ সালে টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ায়নি। ২০২৩ আসরে সব খেলা শেষ হলেও ফাইনাল পেছাতে পেছাতে শেষ পর্যন্ত আর অনুষ্ঠিতই হয়নি। এর মধ্যেই ২০২৪ সালের জুনে উপজেলা পর্যায় দিয়ে নতুন আসর শুরু হয়ে যায়।

উপজেলা পর্যায়ে অংশ নিয়েছিল মোট ১ লাখ ১০ হাজার ২৬৪ জন খেলোয়াড়। জেলা ও বিভাগীয় প্রতিযোগিতা শেষ হয় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্টের প্রতিভাবান ৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা বাছাই করে দেশ ও দেশের বাইরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শুধু জুডকেই নয়, গোল করে ল্যাম্পার্ডকেও মনে করিয়ে দিলেন জোব বেলিংহাম
  • প্রেমের গুঞ্জনে জাহ্নবীর সিলমোহর
  • দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু দেখেননি কাজিয়াকান্দার মানুষ
  • আরচার আলিফের সোনালি হাসি
  • প্রথমবার দেশের বাইরে বল করেই নাঈমের বাজিমাত
  • আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো একসঙ্গে থাকবে: গোলাম পরওয়ার
  • একসঙ্গে দেখা দিলেন প্রাক্তন প্রেমিক যুগল দেব-শুভশ্রী
  • সালমানের নতুন নায়িকাকে কতটা জানেন?
  • কেউ হতে চান হামজা, কেউ ঋতুপর্ণা