অভিনেত্রী, মডেল অপি করিম ও সংগীতশিল্পী, অভিনেতা তাহসান খান বেশ লম্বা সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন। দু’জনে একসঙ্গে কোনো নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনের কাজে দেখা যায়নি। এই দুই তারকাশিল্পী এবার কাজ করেছেন একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে।
সিমপ্লেক্স করপোরেশন লিমিটেডের চেংহুং এসির বিজ্ঞাপনে তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে। বিজ্ঞাপনটি নির্দেশনা দিয়েছেন ছোটপর্দার গুণী নির্মাতা সাগর জাহান।
সম্প্রতি রাজধানীর বনশ্রীতে এর দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। অপি-তাহসান ছাড়াও এতে মডেল হিসেবে রয়েছেন সাদিয়া তানজিন, রাই রাজন্য ও মেহেজাবিন নুর। শিগগিরই বিজ্ঞাপনটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার হবে।
বিজ্ঞাপনে কাজের বিষয়ে অপি করিম বলেন, ‘সাগর জাহানের সঙ্গে বহু বছর নাটকে কাজ করিনি। নতুন বিজ্ঞাপনে কাজ করতে এসে তা একবারও তা মনেই হয়নি। আগের মতোই বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই তাঁর সঙ্গে বিজ্ঞাপন চিত্রটির কাজ শেষ করেছি।’ তাহসান খান বলেন, ‘লম্বা বিরতির পর সাগর জাহানের সঙ্গে কাজ হয়েছে। এটি তাঁর প্রথম বিজ্ঞাপন। নাটকের মতো বিজ্ঞাপনেও তাঁর সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পেয়েছি। আশা করছি, বিজ্ঞাপন চিত্রটি সবার পছন্দ হবে।’
সাগর জাহান বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকে অপি করিম ও তাহসান খানকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করার ইচ্ছা ছিল। দুইজনের একসঙ্গে ডেট পাওয়া যাচ্ছিল না বলে কাজটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। তাদের দুইজনকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল অনেকদিনের। তবে নাটকে নয়, অবশেষে বিজ্ঞাপনে তাদের জুটি করে কাজ করেছি। পরিচালনা ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক নির্মাণ করলেও প্রথমবার বিজ্ঞাপন বানানোর সুযোগ হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মূল ভাবনা আমারই। বড় একটি টিম কাজ করেছে। তাহসান ও অপির সঙ্গে আলাদা আলাদা কাজ হয়েছে। সে সুবাদে তাদের সঙ্গে সুম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিজ্ঞাপনে কাজ করে আরও ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর অপির সঙ্গে কাজ হলো। তাহসান খানের সঙ্গে অসংখ্য নাটক করেছি। তাঁর সবকিছুতেই ভালোলাগা ফিল হয়। এবার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথমবার বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বলে অনেক শঙ্কার মধ্যে ছিলাম। তারা দুইজন আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছেন বলে সেই শঙ্কা কেটে গেছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার পথচলায় নতুন একটি দিক উন্মোচিত হলো।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভালোবেসে সংসার, বিদায়ও একসঙ্গে
পরিবারের অমতে ভালোবেসে সংসার পেতেছিলেন মাহমুদুল হাসান। তিনি থাকতেন বাড়ি থেকে দূরে গাজীপুরের টঙ্গীর মীরের বাজার এলাকায়। চার মাস আগে ঘর আলো করে জন্ম নেয় ছেলেসন্তান। সেই সন্তানের জন্য দুধ গরম করতে গ্যাসের চুলা ধরাতে গিয়ে বিস্ফোরণে শেষ হয়ে যায় মাহমুদুলের ভালোবাসার সংসার।
৩ আগস্ট ভোরে মীরের বাজার এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাসার অন্য ভাড়াটেরা শিশুসহ তিনজনকে উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক শিশু রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাতে মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী হাফিজা খাতুন (২০) ও গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাহমুদুল মারা যান। শিশু রায়হানকে ৩ আগস্ট ও স্বামী–স্ত্রীকে গতকাল শুক্রবার পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে।
নিহত মাহমুদুল হাসান (রিপন) ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চারিয়া ঘোষপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে। তিনি পাশের কান্দাবাড়ি গ্রামের হাফিজা খাতুনকে (২০) ভালোবেসে দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। পরিবার মেনে না নেওয়ায় গাজীপুরের মীরের বাজার এলাকায় বসবাস শুরু করেন। মাহমুদুল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। হাফিজা ছিলেন গৃহিণী। পরে পরিবার বিয়ে মেনে নেয়। চার মাস আগে শিশু রায়হানের জন্ম হয়। একটি দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার শেষ হয়ে যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্ত্রীর সঙ্গে মাহমুদুল হাসান