বাঁচানো গেল না গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীকে
Published: 22nd, June 2025 GMT
নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদল-বিএনপি নেতাকর্মীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বাবা।
নিহত ঈসমাইল হোসেন পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর ছেলে ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন। এ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বলেন, নিহত ঈসমাইল হোসেন তাদের কর্মী ছিলেন। জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তাঁর লোকজনের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, গত ১৫ জুন ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জুয়েলের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিন্দার পাশাপাশি ইসমাইল হত্যায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ ঈসমাইল হোসেন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের এখনও জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন সন্ধ্যার দিকে পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ছাড়া ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে আহত ঈসমাইলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছয় দিন পর শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
এ ঘটনায় গত ১৫ জুন রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ফজলুর কবির জুয়েলসহ ৯ জনের নামে মামলা করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে। পরে জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে আসামি ফজলুল কবির জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ ছ ত রদল ন ত ন হত ছ ত রদল র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলা সদর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মোতালেব হোসেন খাঁ, শ্যামনগর পৌর বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য মফিজুর রহমান মফু ও বিএনপি কর্মী সলতে বাবু।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
শিবচরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির ওপর হামলা, আহত ২৫
বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার অংশ হিসেবে গত ২৫ জুলাই শ্যামনগর উপজেলার ওয়ার্ড কাউন্সিল চলার সময়ে ভোট প্রদানে বাধাদানসহ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণের পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। যে কারণে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপরাধে উক্ত তিনজনকে সাময়িকভাবে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দলকে ভালোবাসলে দলের নীতি ও আদর্শ মেনে চলতে হবে।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই ওয়ার্ড কউন্সিলকে ঘিরে শ্যামনগরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে ওয়ার্ডের কাউন্সিল অধিবেশন বন্ধ করে দেন জেলা বিএনপির নেতারা।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ