ঢাকা-আখাউড়া রুটে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনটির যাত্রীরা শনিবার রাতে পড়েছিলেন আতঙ্কে। যান্ত্রিক ত্রুটিতে সেটিকে চালানো হচ্ছিল ধীরগতিতে। এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় হেডলাইট। বাধ্য হয়ে রেলকর্মীরা সামনে মোবাইল ফোনের টর্চ ধরেন। এভাবে ট্রেনটিকে যেতে হয় প্রায় ৮ কিলোমিটার।
 
তিতাস কমিউটার ট্রেনটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। ট্রেনটির একাধিক যাত্রীর ভাষ্য, ঢাকা থেকে সাধারণত ট্রেনটি আখাউড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু শনিবার সেটি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর ছাড়ে। নানা স্টেশন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে সেটি আশুগঞ্জ স্টেশন ছাড়ে রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে। তিন কিলোমিটার যাওয়ার পর তালশহর স্টেশন অতিক্রমের সেটির লোকোমোটিভে (ইঞ্জিন) সমস্যা শুরু হয়। 

যাত্রীরা জানিয়েছেন, ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর চালক ট্রেনটি খুব ধীরগতিতে চালাতে থাকেন। মাঝেমধ্যে সেটি থেমেও যায়। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনের হেডলাইট। তখন রেলকর্মীরা মোবাইল ফোনে টর্চের আলো জ্বালিয়ে খুব ধীরে ধীরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যান। এই পুরো সময় লাগাতার হর্ন বাজিয়ে যাওয়া হয়। এতে ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো.

জসীম উদ্দিন এ সমস্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেনটি তালশহর পার হওয়ার পরই সমস্যা দেখা দেয়। পরে আরেকটি লোকোমোটিভ আখাউড়া থেকে এনে ট্রেনটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সেখানে পাঠানো হয়। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব র হ মণব ড় য় ট র নট সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

মোবাইল ফোনের আলোতে ৮ কি.মি. পথ চললো ট্রেন

ঢাকা-আখাউড়া রুটে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেনটির যাত্রীরা শনিবার রাতে পড়েছিলেন আতঙ্কে। যান্ত্রিক ত্রুটিতে সেটিকে চালানো হচ্ছিল ধীরগতিতে। এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় হেডলাইট। বাধ্য হয়ে রেলকর্মীরা সামনে মোবাইল ফোনের টর্চ ধরেন। এভাবে ট্রেনটিকে যেতে হয় প্রায় ৮ কিলোমিটার।
 
তিতাস কমিউটার ট্রেনটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। ট্রেনটির একাধিক যাত্রীর ভাষ্য, ঢাকা থেকে সাধারণত ট্রেনটি আখাউড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু শনিবার সেটি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর ছাড়ে। নানা স্টেশন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে সেটি আশুগঞ্জ স্টেশন ছাড়ে রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে। তিন কিলোমিটার যাওয়ার পর তালশহর স্টেশন অতিক্রমের সেটির লোকোমোটিভে (ইঞ্জিন) সমস্যা শুরু হয়। 

যাত্রীরা জানিয়েছেন, ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেওয়ার পর চালক ট্রেনটি খুব ধীরগতিতে চালাতে থাকেন। মাঝেমধ্যে সেটি থেমেও যায়। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনের হেডলাইট। তখন রেলকর্মীরা মোবাইল ফোনে টর্চের আলো জ্বালিয়ে খুব ধীরে ধীরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যান। এই পুরো সময় লাগাতার হর্ন বাজিয়ে যাওয়া হয়। এতে ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  তালশহর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. জসীম উদ্দিন এ সমস্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেনটি তালশহর পার হওয়ার পরই সমস্যা দেখা দেয়। পরে আরেকটি লোকোমোটিভ আখাউড়া থেকে এনে ট্রেনটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সেখানে পাঠানো হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ