চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে রয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪৫টি দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র।  এর মধ্যে সাদাকালো চলচ্চিত্র ৩১৮টি এবং রঙিন পাঁচ হাজার ১২৭টি। ফিল্ম আর্কাইভের ছয়টি অত্যাধুনিক ভল্টে এসব চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.

মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ফিল্ম আর্কাইভের সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে পুরানো চলচ্চিত্র হল ‘দ্য লুমিয়র ব্রাদার্স’। বিদেশি এই চলচ্চিত্র ১৮৯৫ সালে নির্মিত হয়। ফিল্ম আর্কাইভের বিশাল সংগ্রহশালায় রয়েছে ‘ধ্রুব’ (১৯৩৪), ‘দেবদাস’ (১৯৩৫), ‘মুখ ও মুখোশ’ (১৯৫৬), ‘এ দেশ তোমার আমার’ (১৯৫৯), ‘আসিয়া’ (১৯৬০), ‘কখনো আসেনি’ (১৯৬১), ‘সূর্যস্নান’ (১৯৬২), ‘ধারাপাত’ (১৯৬৩), ‘সুতরাং’ (১৯৬৪), ‘অনেক দিনের চেনা’ (১৯৬৪), ‘দুই দিগন্ত’ (১৯৬৪), ‘রূপবান’ (১৯৬৫)-এর মতো হাজারও দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র।

চলচ্চিত্র ছাড়াও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সংগ্রহে রয়েছে চলচ্চিত্র-সংক্রান্ত গ্রন্থ, সাময়িকী, প্রকাশনা, গানের বই, পোস্টার, প্রচারপত্র, স্থিরচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী।

চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পাশাপাশি ফিল্ম আর্কাইভ অ্যানালগ ধ্রুপদী ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১৬০টি ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তর করা হয়েছে। 
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ধ্রুপদী ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তর করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র স র স গ রহ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলের পরিবারের সাক্ষাৎ

বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

স্থানীয় সময় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ

কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা, ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। 

সেখানে বলা হয়, দিদারুল ইসলামের প্রতি সম্মাননা স্বরূপ পরিবারের সদস্যদের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পত্রিকায় ঘটনাটি পড়েছি। পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে হলো। টিভিতে দেখেছি নিউইয়র্কে তাঁর শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্কে আসার পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের মনে হয়েছে অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।”

পরিবারের সদস্যরা জানান, দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে তিনি কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। 

গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দিদারুল ইসলাম। বন্দুকধারী এক তরুণ সেদিন বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। সেসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিতে দিদারুল নিহত হন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ