৫ হাজারের বেশি চলচ্চিত্রের সংগ্রহশালা এখন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ
Published: 22nd, June 2025 GMT
চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ। ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের সংগ্রহে রয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪৫টি দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে সাদাকালো চলচ্চিত্র ৩১৮টি এবং রঙিন পাঁচ হাজার ১২৭টি। ফিল্ম আর্কাইভের ছয়টি অত্যাধুনিক ভল্টে এসব চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ফিল্ম আর্কাইভের সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে পুরানো চলচ্চিত্র হল ‘দ্য লুমিয়র ব্রাদার্স’। বিদেশি এই চলচ্চিত্র ১৮৯৫ সালে নির্মিত হয়। ফিল্ম আর্কাইভের বিশাল সংগ্রহশালায় রয়েছে ‘ধ্রুব’ (১৯৩৪), ‘দেবদাস’ (১৯৩৫), ‘মুখ ও মুখোশ’ (১৯৫৬), ‘এ দেশ তোমার আমার’ (১৯৫৯), ‘আসিয়া’ (১৯৬০), ‘কখনো আসেনি’ (১৯৬১), ‘সূর্যস্নান’ (১৯৬২), ‘ধারাপাত’ (১৯৬৩), ‘সুতরাং’ (১৯৬৪), ‘অনেক দিনের চেনা’ (১৯৬৪), ‘দুই দিগন্ত’ (১৯৬৪), ‘রূপবান’ (১৯৬৫)-এর মতো হাজারও দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র।
চলচ্চিত্র ছাড়াও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সংগ্রহে রয়েছে চলচ্চিত্র-সংক্রান্ত গ্রন্থ, সাময়িকী, প্রকাশনা, গানের বই, পোস্টার, প্রচারপত্র, স্থিরচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী।
চলচ্চিত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পাশাপাশি ফিল্ম আর্কাইভ অ্যানালগ ধ্রুপদী ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১৬০টি ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তর করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ধ্রুপদী ফিল্মকে ডিজিটাল ফরমেটে রূপান্তর করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র স র স গ রহ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের যে পথে রয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন হবে: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদের যে পথে রয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন হবে। সনদের আদেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে। সনদে কোনো নোট অব ডিসেন্ট থাকবে না। আশা করব, দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের দিকে যাব।’’
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সম্মেলন কক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরামের (ইউটিএফ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে না পারলে রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন সম্ভব নয়। সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের কথা ছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা ব্যর্থ হলেও আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘বিগত ১৬ বছর দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হতো। ফ্যাসিবাদী কাঠামো বাংলাদেশে এখনো রয়ে গেছে। ব্যক্তি ও সমাজের চিন্তার পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়।’’
এনসিপি’র আহ্বায়ক বলেন, ‘‘বেকারত্ব দূর করতে হলে শিক্ষা খাতে হাত দিতে হবে আগে। সেখানে সংস্কার আগে করতে হবে। আমরা যদি শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে না পারি, তাহলে রাষ্ট্রের পরিবর্তন সম্ভব নয়।’’
ঢাকা/রায়হান/