এইচএসসি পরীক্ষায় শেষ মুহূর্তে মনে রেখো ৭ বিষয়
Published: 23rd, June 2025 GMT
১. আত্মবিশ্বাস রাখবে
তোমরা সারা বছর পড়াশোনা করেছ, তাই পরীক্ষার সময় অবশ্যই আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে তোমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি আছে। কারণ, তুমি এইচএসসির পাঠ্যবইগুলো সারা বছর ভালো করে পড়েছ, আবার রিভিশনও দিয়েছ। এখন এইচএসসি পরীক্ষার সময় তোমাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে—‘আমি পরীক্ষায় ভালো করব। আমি সব প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে উত্তর দিতে পারব।’
২.
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরবে
পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময়সহ প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ‘মাস্ক পরিধান’ করতে হবে। সারা দেশে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত ১৬ জুন একটি স্বাস্থ্যবিধি প্রকাশিত হয়েছে।
৩. সুস্থ থাকো, ভালো থাকো
এখন বর্ষাকাল। গরমও পড়ছে, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। আবহাওয়াটা পরিবর্তনমূলক। তাই গরম থেকে হঠাৎ ঠান্ডা লাগতে পারে। রোদে যাওয়া যাবে না। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষার আগের সময় ও পরীক্ষা চলাকালীন তোমার ১০০ ভাগ সুস্থ থাকা জরুরি। একজন পরীক্ষার্থীর জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ঘুম, বেশি রাত না জাগা, সুষম ও পুষ্টিকর খাবার, বেশি বেশি পানি পান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. সাজেশনে আকর্ষণ নয়
এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। তোমার মনে টেনশনও কাজ করছে। কিন্তু পরীক্ষার টেনশন তুমি মন থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলবে। পরীক্ষার আগে বা চলাকালীন অনেক সেন্টার, কোনো শিক্ষক বা ফেসবুক গ্রুপে অনেকে অনেক রকম চটকদার নোটের বলা বলবে। এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে বলবে। সে কথায় কান না দিয়ে, তুমি যা পড়েছ তার ওপর ১০০ ভাগ আস্থা রাখো। এতে তোমারই লাভ হবে।
৫. দূরে থাকো মুঠোফোন থেকে
এখন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অনুষঙ্গ হলো মুঠোফোন। এটাই আবার কষ্টের কারণ। পরীক্ষা চলাকালীন মুঠোফোন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে তোমাকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে। মনে রেখো, এসব ডিভাইস বা গেজেট তোমার পরীক্ষার প্রস্তুতি থেকে মনোযোগকে ক্ষতি করতে পারে বা কিছু সময়ের জন্য সরাতে পারে, যা তোমার পরীক্ষার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৬. নিয়ম জানো, আইন মানো
পরীক্ষার বিষয়ে প্রথমে আইনগুলো জানা প্রয়োজন পরে তা মানতে হবে। নিয়মের মধ্যে থাকলে যেকোনো কঠিন বিষয়ই সহজ ও ভালো হতে পারে। আরও কিছু দরকারি নিয়ম মানতে তোমার প্রবেশপত্রের পেছনের পাতায় দেওয়া থাকে, তা অবশ্যই পড়ে নেবে। প্রতিটি পরীক্ষার দিন নির্ধারিত কক্ষে নিজ আসনে অবশ্যই ৩০ মিনিট সময় আগে ঢুকবে।
৭. ছোট্ট ভুল বড় বিপদ
মনে রেখো তোমার ছোট্ট একটি ভুল অনেক বড় কোনো বিপদের কারণ হতে পারে। তাই তোমাকে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের সময়, পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময়, পরীক্ষা চলাকালীন, পরীক্ষার খাতায় লেখার সময়, পরীক্ষার খাতা–সংক্রান্ত নিয়ম সম্পর্কে সঠিক নিয়ম জেনে নেবে এবং মেনে চলবে। তাই তোমার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, কোন বোর্ড, বিষয় কোড ইত্যাদি ভালো করে বুঝে নিয়ে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া না করে উত্তর সঠিকভাবে লিখবে।
লেখক: অধ্যাপক মো. আবু মাসুদ, অধ্যক্ষ, ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র প রব শ র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে
নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিশির হালদার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। উপজেলার কাচঁপুর সোনাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই যুবতীর বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগের বিবরনীতে ওই ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, উপজেলার কাচঁপুর সোনাপুর এলাকার কমল হালদারের ছেলে শিশির হালদার তার মেয়েকে বাসায় প্রাইভেট পড়াইতো। প্রাইভেট পড়ানোর সময় নানা ভাবে ফুসলাইয়া এবং প্রলোভন দেখাইয়া প্রেমের প্রস্তাব দেন। প্রথমে বিবাদীর প্রস্তাবে রাজী না হইলেও একপর্যায়ে শিশির হালদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়া ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়া ওঠার পরে শিশির হালদার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়া শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে শিশির হালদারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কালক্ষেপন করিতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মেয়ে ০৩ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি শিশির হালদারকে জানাইলে ওষুধ সেবন করে পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দেয় ।
বিষয়টি নিয়ে আমি তার পরিবারকে জানানোর পর শিশির হালদারের বাবা কমল হালদার ও ছোট ভাই পিয়াস হালদার আমাদের মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।