মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের (এমটিবি) পরিচালনা পর্ষদে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও তপন চৌধুরী পরিচালক এবং জারিন মাহমুদ হোসেন স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রখ্যাত শিল্পপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি এমটিবির পরিচালনা পর্যদে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি খ্যাতিমান উদ্যোক্তা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং এমটিবির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর পুত্র।

নাসিম মঞ্জুর ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান এবং অ্যাপেক্স ট্যানারি, অ্যাপেক্স ফার্মা ও ব্লু ওশান ফুটওয়্যারের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই)দু'বারের সাবেক সভাপতি এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি।

তপন চৌধুরী এমটিবির পরিচালনা পর্ষদে আস্ট্রাজের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশের অন্যতম শিল্পপতি ও স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যামসন এইচ.

চৌধুরীর দ্বিতীয় পুত্র। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে মার্কেটিং বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে তিনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান এবং বর্তমানে স্কয়ার টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৭ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যুব ও ক্রীড়া, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

এমটিবির নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক জারিন মাহমুদ হোসেনের রয়েছে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ও নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা। তিনি স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কো., চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এমট ব র প ফ টওয

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের ৫ দিন পর আইনজীবী জানালেন নোবেল বাবা হতে চলেছেন

গত ১৯ জুন কারাফটকে বিয়ে করেন শিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। তার আইনজীবী আজ জানালেন, নোবেল বাবা হতে চলেছেন। মঙ্গলবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই খবর জেনেছেন নোবেল।

আদালত নোবেলের জামিন মঞ্জুরের পর তার আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান জানান, নোবেল ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়া বাবা-মা হতে চলেছেন।

বিয়ের পাঁচদিন পর নোবেলের স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, নোবেল-প্রিয়া গত বছর বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। তখন কাবিন রেজিস্ট্রি করা ছিল না। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে মামলা হয়। এখন ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে এবং গত ১৯ জুন কারাগারে আবার তাদের বিয়ে হয়েছে।

এদিন ডেমরা থানায় হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় এক হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন নোবেল। জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব। আদালতে জামিনের বিষয়ে আপত্তি না থাকার কথা জানান তার স্ত্রী প্রিয়া। তবে নোবেল নিজে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।

এর আগে হাসিখুশি অবস্থায় কড়া নিরাপত্তায় আদালতে প্রবেশ করেন নোবেল। এর কিছুক্ষণ পরই হাস্যোজ্জ্বল মুখে উপস্থিত হন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়াও। তিনিই ছিলেন নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার বাদী। আদালতে প্রবেশ করে কাঠগড়ায় থাকা নোবেলের কাছে যান তিনি। বেশ আনন্দের সঙ্গে দুজন গল্প করেন কিছুক্ষণ।

এরপর নোবেলকে আদালত থেকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় সারাক্ষণ প্রিয়ার হাত ধরেই হাঁটছিলেন নোবেল। আদালতের লিফটে ওঠার সময়ও প্রিয়াকে সঙ্গে নেন তিনি।

গত ২০ মে থেকে কারাগারে ছিলেন নোবেল। বাদীর মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন এই সংগীতশিল্পী। এই মামলার শুনানিতে গত ১৮ জুন (বুধবার) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক নাজমিন আক্তার নোবেলকে জামিন দেওয়ার শর্ত হিসেবে বাদীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে বিয়ে করে জামিন পান নোবেল।

পরে ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল বিয়ে করেন মামলার বাদী ইসরাত জাহান প্রিয়াকে। বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন উভয় পরিবারের সাক্ষী নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, মো. খলিলুর রহমান এবং মো. সাদেক উল্লাহ ভূইয়া।

কারা সূত্রে জানা গেছে, এই বিয়েতে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ