ষাটের দশকের সাড়া জাগানো নায়িকা মীনাকুমারীর জীবনী নিয়ে সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। গত বছর এ ঘোষণা দিয়েছিলেন পরিচালক সিদ্ধার্থ পি মলহোত্র। মীনাকে পর্দায় জীবন্ত করার ডাক পেয়েছেন এই প্রজন্মের দুই প্রথম সারির নায়িকা- কৃতি শ্যানন, কিয়ারা আদভানি।

নির্মাতা জানান, সিনেমার নাম ‘কমল ওর মীনা’। ছবির চিত্রনাট্য লেখা শেষ হয়েছে। সংলাপ নিয়ে ঘষামাজা চলছে।

কিয়ারা যদি মীনাকুমারীর চরিত্রে অভিনয় করেন তাহলে মা হওয়ার পর এই ছবি দিয়েই অভিনয় দুনিয়ায় ফিরবেন তিনি।

নির্মাতা সিদ্ধার্থ জানিয়েছিলেন, পরিচালক কমল অমরোহী তার অভিনেত্রী স্ত্রী মীনাকে অজস্র চিঠি লিখেছিলেন। তার উপর ভিত্তি করে ছবি তৈরি হবে। তিন জন নায়িকাকে সিদ্ধার্থের দল পছন্দ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম কৃতি ও কিয়ারা।

পরিচালকের কথায়, ‘নিখুঁত অভিনয়ের পাশাপাশি উর্দু ভাষায় সাবলীল হতে হবে নায়িকাকে। তাই এখনও কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি।’

ফলে বলিউডে গুঞ্জন, কিয়ারা ইতিমধ্যেই চিত্রনাট্য শুনে জানিয়েছেন কাহিনি, চিত্রনাট্য তার পছন্দ হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। বাকি রয়েছে চুক্তি সইয়ের কাজ।

ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক আরও জানিয়েছেন, ছবিতে মীনা, কমল ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী মেহমুদিজিকেও দেখানো হবে। ছবিতে উর্দু ভাষায় অনেক সংলাপ থাকবে। তাই যিনি নায়িকা হবেন তাকে এই ভাষা লিখতে এবং পড়তে জানতে হবে। মীনাকুমারী অভিনয়ের পাশাপাশি উর্দুতে উঁচু দরের কবিতা লিখতে পারতেন। ফলে নায়িকাকে কড়া প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকতে হবে। তারপর তিনি শুরু করবেন শুটিং।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য় র আদভ ন ক ত শ য নন

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জের হাওরে পর্যটকের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে হাওরের পানিতে ডুবে বনান্ত ইসলাম (২২) নামে এক পর্যটক মারা গেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের হাওরে মারা যান তিনি। 

মারা যাওয়া বনান্ত ইসলামের বাড়ি বগুড়ার কান্দারবাজার এলাকায়। তিনি বগুড়ার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিকলী থানার ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, শনিবার সকালে বগুড়া থেকে ৮-৯ জন বন্ধুর সঙ্গে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ দেখতে আসেন বনান্ত ইসলাম। তারা কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে হাওরে বেড়াতে নিকলী যান। বিকেলে নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে ট্রলারযোগে দ্বীপগ্রাম ছাতিরচরের পাশে করচবনে গিয়ে গোসল করতে পানিতে নামেন তারা। এসময় বনান্ত পানিতে তলিয়ে যান। 

আরো পড়ুন:

দিনাজপুরে বিষ খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাজীপুরে পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু

বন্ধুদের চিৎকার শুনে পানিতে নেমে স্থানীয় নৌকার মাঝিরা বনান্তকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। তারা তাকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক বনান্তকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি কাজী আরিফ উদ্দিন জানান, পুলিশ গিয়ে মরদেহ থানায় আনে। বনান্তরের পরিবারের সদস্যদের জানানোর পর তারা রাতে বগুড়া থেকে আসেন। পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ