রাজধানীতে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও ইউনেস্কোর যৌথ আয়োজনে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক গঠনের লক্ষ্যে মিডিয়া লিটারেসি নেটওয়ার্কের উদ্বোধনী সভা ও ‘একটি সুন্দর ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এই সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড.

সুসান ভাইজ ‘মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি’ প্রসারে ইউনেস্কোর ভূমিকা তুলে ধরেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন এবং নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্যগুলো ব্যাখ্যা করেন। ইউনেনেস্কো ঢাকা অফিসের নূরে জান্নাত প্রমা নেটওয়ার্কের মূল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান সেশনের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন, যেখানে তিনি ‘মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন লিটারেসি’ উদ্যোগে পারস্পারিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

বিকেলে কর্মশালায় একটি স্বস্তিদায়ক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম কিভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম ‘ডিজিটাল গোলকধাঁধা নেভিগেট করা: ভুল তথ্য, অপতথ্য এবং ভুয়া খবর বোঝা’ বিষয়ে আলোচনা করেন, অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম ‘ডিজিটাল যুগে তথ্য যাচাই: অপরিহার্য সরঞ্জাম এবং কৌশল’ নিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে দেশের ১৬টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা ভুল তথ্য, অপতথ্য এবং ভুয়া খবর ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে বলে তারা প্রতাশ্যা করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ট ইউন ভ র স ট ইউন স ক র অন ষ ঠ ন টওয সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অপতথ্য ও এআইয়ের অপব্যবহার রোধে আশা ও সীমাদ্ধতা, দুটিই দেখছে ইসি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য এবং এআইয়ের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) অপব্যবহার ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ ক্ষেত্রে আশা ও সীমাবদ্ধতা, দুটিই দেখছেন তিনি।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি আয়োজিত সংলাপের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় সানাউল্লাহ এ কথা জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন, তিনজন নির্বাচন কমিশনার এবং পাঁচটি দলের প্রতিনিধিরা এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন।

সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রথমত ভালো তথ্যের প্রবাহ বাড়িয়ে খারাপ তথ্যকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী—উভয়ই নির্বাচনী আচরণবিধির আলোকে একটা অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করছেন, যেখানে তাঁরা আচরণবিধি প্রতিপালনের কথা বলেছেন। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করলে অপতথ্যের প্রভাব কমানো যাবে বলে ইসি মনে করে।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় যতটুকু সক্ষমতা আমাদের আছে, এর পাশাপাশি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে আমরা ইউএনডিপির (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) যে প্ল্যাটফর্মটা আছে, সেটাও ব্যবহার করছি। তবে এটা খুব একটা সহজ কাজ নয় বর্তমান বিশ্বে। আমি ইসির পক্ষ থেকে অনেকগুলো ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির (নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা পর্ষদ) সঙ্গে বৈঠক করেছি। সবারই উদ্বেগ এখন এটা যে কীভাবে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপপ্রয়োগ, অপব্যবহার, এআইয়েরর অপব্যবহার রোধ করা হবে। তবে আমরা যদি সবাই সচেতন থাকি, তাহলে কিছুটা অবশ্যই করা সম্ভব।’

‘প্রায় ৫০ শতাংশের উৎস দেশের বাইরে’

নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যের প্রবাহ থামানো যাবে না। কারণ, ৫০ শতাংশের বেশির উৎস ট্রেসই (শনাক্ত) করা সম্ভব নয়; কোত্থেকে উৎপত্তি হচ্ছে, এটাই বের করা যাবে না। এটা একটা বৈশ্বিক বাস্তবতা। প্রায় ৫০ শতাংশের উৎস দেশের বাইরে। মেটাসহ (ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান) যতগুলো প্রোভাইডার আছে, এরা যে মানদণ্ডে একটা জিনিসকে সরিয়ে দেয়, সেই মানদণ্ডে বেশির ভাগই পড়ে না। তার মানে, চাইলেও সে সরাবে না কন্টেন্টটা।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তাহলে আমরা কী করতে পারি? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রথমত ভালো তথ্যের প্রবাহ বাড়িয়ে খারাপ তথ্যকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।...আমরা ভালো তথ্যের প্রবাহ বাড়াব, যেগুলো খারাপ তথ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলোর ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেটা সরানো সম্ভব, তা সরানো, যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তার পরিবর্তে একটা সঠিক তথ্য যথাযথ সময়ে তুলে ধরা; যাতে মানুষ অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কাজগুলো করব।’

ভোটার তালিকা ১৮ নভেম্বর

পোস্টাল ভোটিংয়ের নিবন্ধনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার ইসি ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি অ্যাপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, একটা উল্লেখযোগ্য সাড়া পাব।...যে প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই–বোনেরা ইতিমধ্যে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন, তাঁরা চাইলে ভোট দিতে পারবেন। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ভোট দেওয়া যাবে।’

তবে গত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রবাসীদের মধ্যে যাঁরা ভোটার হতে আবেদন করেছেন, আপাতত তাঁরা ভোট দিতে পারবেন বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবরের পর যাঁরা হচ্ছেন, তাঁদের নেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ১৮ নভেম্বর একটা ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয়ে যাবে।

অবশ্য নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, ‘দেশের ভেতরে যদি কেউ এখনো বাদ পড়ে থাকেন ভোটার তালিকায়, তাঁদের জন্য সুযোগ আছে। কারণ, আমাদের তফসিল ঘোষণার পরও আমরা ভোটার তালিকার একটা ফাইনাল ইভেন্ট (সংস্করণ) বের করব। তখন পর্যন্ত আমরা কাউকে পেলে নিয়ে নেব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপতথ্য ও এআইয়ের অপব্যবহার রোধে আশা ও সীমাদ্ধতা, দুটিই দেখছে ইসি
  • কেডিএস এক্সেসরিজের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়