আজ ৩৮তম জন্মদিন পালন করছেন লিওনেল মেসি। তার আগে কাল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় রাত ৯টায় মাঠে নামতে হয়েছে মেসিকে। বাংলাদেশ সময়ে আজ সকালে ক্লাব বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় ওঠার ম্যাচে মেসির ইন্টার মায়ামি মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের। ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করেছে মেসির মায়ামি।

যদিও তাতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে কোনো সমস্যা হয়নি ফ্লোরিডার ক্লাবটির। গ্রুপ ‘এ’তে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও রানার্সআপ হয়েছে মেসিরা। আর এই গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পালমেইরাস। শেষ ষোলোয় মেসিদের প্রতিপক্ষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।

তবে শেষ ষোলোয় ফল যাই হোক, গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার মধ্য দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত একটি রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখলেন মেসি। এখন পর্যন্ত ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে ৩৩ বার বিভিন্ন টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে খেলেছেন মেসি।

আরও পড়ুনলিওনেল মেসির আজ জন্মদিন: এমন মানবজনম আর কি হবে১২ ঘণ্টা আগে

আর প্রতিবারই সাফল্যের সঙ্গে পরের পর্বে উতরে গেছে তাঁর দল। অবিশ্বাস্য কীর্তিই বটে! ২১ বছরের দীর্ঘ পেশাদার ক্যারিয়ারে কখনোই গ্রুপ থেকে বিদায় না হওয়ার অভিজ্ঞতা দারুণ কিছুই বটে।

পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচের একটি মুহূর্তে মেসি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ