বন্দরে গণসংযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও নারায়নগঞ্জের-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের মনোনীত সাংসদ প্রার্থী মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পদুঘর বাড়িখালী এলাকায় মৃত আবদুল লতিফ প্রধানের স্ত্রী এবং ফয়সাল আলমের মমতাময়ী মা এর দোয়া ও মুনাজাত শেষে তিনি গণসংযোগ করেন।

এ সময় মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন, বিগত আমলে চোরেরা উন্নয়নের নামে লুটপাট করে খেয়েছে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার আগে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে ব্যাস্ত ছিল তারা। আল্লাহর ভয় না থাকলে ভালো হওয়া সম্ভব না। তাই ইসলামকে বিজয় করতে চাইলে সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

এসময় তিনি সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে থেকে নাগরিক সেবা ও বেশ কয়েকটি পরিবার কে নিরাপদ সড়ক নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন, মানুষের কল্যানে কাজ করতে চায় জামায়াতে ইসলামী। 

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার আমীর মাওলানা খোরশেদ আলম ফারুকী, বন্দর ইউনিয়ন সভাপতি মো.

আব্দুল করীম ও সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, বন্দর ইউনিয়ন ও ৬নং ওয়ার্ড দায়িত্বশীল আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সুমন, সহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ গণস য গ

এছাড়াও পড়ুন:

‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল, পোলাপান লইয়া কই যামু’

চার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে এক রাতে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন শেরপুর সদর উপজেলার গৃহিণী নাজমা বেগম (৪৬)। চোখের সামনে নিজেদের শেষ আশ্রয়স্থলটি নদীতে বিলীন হতে দেখেন। এই অবস্থায় কোথায় যাবেন, কী করবেন—কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাগলঘর গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, ‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল (ব্রহ্মপুত্র নদ), পোলাপান লইয়া কই যামু?’

আপাতত দিনমজুর স্বামী আবদুল্লাহ ও সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নাজমা। তবে ভবিষ্যতে কোথায় যাবেন, এই ভেবে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। ব্রহ্মপুত্র নদে বসতভিটা হারানোর এই কষ্ট কিংবা অসহায়ত্ব শুধু নাজমা বেগমের একার নয়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের একই দুর্দশা। পরিবারগুলোর অভিযোগ, সরকারি উদ্যোগে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের একাংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গ্রামটির প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যেই অনেকের বসতভিটা নদে পুরোপুরিভাবে বিলীন হয়ে গেছে। আবার কোথাও নদের পাড় ঘেঁষে থাকা শূন্য ভিটায় উঁকি দিচ্ছে বাঁশের খুঁটি। এগুলো এখন সেই দুঃসহ বাস্তবতার সাক্ষী যেন। অনেকে তড়িঘড়ি নিজেদের ঘর থেকে আসবাব সরিয়ে কোনোরকমে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে রেখেছেন।

ব্রহ্মপুত্রের তীর থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে আছে ভাগলঘর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান। ভাঙন রোধ করা না গেলে যেকোনো সময় এগুলো নদে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। এর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার জন্য বালু ভরার কাজ চলতে দেখা যায়।

নদের ভাঙনকবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভাগলঘর গ্রামে

সম্পর্কিত নিবন্ধ