নতুন মামলায় গ্রেপ্তার পলক-ইনুসহ চারজন
Published: 25th, June 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন- সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ডিএমপির সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মো.
পশ্চিম রামপুরায় রমজান মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু ও পলককে, মিরপুরে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার এবং ভাটারা থানায় শামিম মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন বুধবার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। ১০টা ৪৩ মিনিটের দিকে শুনানি শেষ হয়। আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য জানান।
রমজান মিয়া হত্যা মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন রমজান মিয়া। এদিন সকাল ১০টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৬ মে হাতিরঝিল থানায় মামলা করা হয়।
আলভী হত্যা মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট মিরপুর ১০ এ আন্দোলন অংশ নেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান আলভী। বিকাল ৪টায় গুলি এসে আলভীর বুকে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা যান আলভী।
শামিম মিয়া হত্যাচেষ্টা মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ভুক্তভোগী মো. শামিম মিয়া রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলেন৷ এসময় বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি৷ এসময় তার শরীরে চারটি গুলি লাগে। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। এ ঘটনায় গত ২২ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেন৷
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
খুলনায় পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে মারধর করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে তারা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।
ভুক্তভোগী বর্তমানে খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
এলাকাবাসী জানান, এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।
আরো পড়ুন:
চাঁদা না দেওয়ায় দাড়ি ধরে টান, মারধরের অভিযোগ
খাতা জমা দিতে দেরি করায় ১৬ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, হাসপাতালে ২
স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলারে করে যাচ্ছিলেন এসআই সুকান্ত। থ্রি-হুইলারটি ইস্টার্ন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানোর সময় ক্ষুদ্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা এসআই সুকান্তকে গাড়ি থেকে বের করে মারধর করেন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিল্টন ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফুলবাড়ি গেট এলাকায় দলীয় কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা ইস্টার্ন গেট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় তারা এসআই সুকান্তকে দেখতে পেয়ে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৪-৫টি মামলা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খুলনার খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, “নিরাপত্তা জন্য এসআই সুকান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিড়ে গেছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ