মেহেরপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রকৌশলীসহ নিহত দুই
Published: 25th, June 2025 GMT
মেহেরপুর পৌর শহরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক প্রকৌশলীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ওয়াবদা এলাকার বন বিভাগের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাহাফুজুর রহমান (৪৮) ও আকমল হোসেন (২২)। মাহাফুজুর সদর উপজেলার গহরপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলীর ছেলে এবং গাংনী উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে আকমল মেহেরপুর শহরের শেখপাড়া এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আকমল গাংনী থেকে মেহেরপুর পৌর শহরের দিকে এবং মাহাফুজুর শহর থেকে গাংনী প্রকৌশল অধিদপ্তরের দিকে যাচ্ছিলেন। বন বিভাগের সামনে একটি প্রাইভেট কার অতিক্রম করার সময় ওই দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুজনই সড়কে ছিটকে পড়েন। স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মাহাফুজুর ও আকমলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার চাইলে মামলা করতে পারে। পুলিশ মামলা নিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র শহর
এছাড়াও পড়ুন:
জলবায়ু সহনশীল কৃষি প্রকল্পের জন্য ফিকির পুরস্কার পেল সিনজেনটা বাংলাদেশ
ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) ‘সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস’এ ‘ইনোভেশন লিডার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’–এর স্বীকৃতি পেয়েছে সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ টেকসই প্রকল্প ‘গো গ্রো: এনরিচিং দ্য লাইভলিহুড ও কোস্টাল বেল্ট ফারমার্স’ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা ও টেকসই কৃষি উদ্ভাবনে সময়োপযোগী দৃষ্টান্ত রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। সিনজেনটা বাংলাদেশের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেদায়েত উল্লাহ ও পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও সাসটেইনেবিলিটি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও মাটির উর্বরতা হ্রাস কৃষকদের জীবিকা বিপন্ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় লবণসহনশীল জাতের বীজ, সৌরশক্তিচালিত সেচ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতির মাধ্যমে লবণাক্ত জমি পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের শস্য আবাদে পুকুর খননের পাশাপাশি নতুন জাতের বীজ, ভার্মি কম্পোস্ট, সোলার ইরিগেশন ও কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, সার ও কৃষি উপকরণের পরিমিত ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন বিষয়ে কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রকল্পটি শুরু হয় ২০২৩ সালে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান—কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), ডিএইর এসএসিপি প্রকল্প ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।