সাভারে ভূমিহীন পার্টি ও মৌলিক বাংলার ঠিকানা চেনেন না কেউ, দেখিয়ে দিলেন নিজেরাই
Published: 25th, June 2025 GMT
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ার মাঝিপাড়া এলাকায় লম্বালম্বিভাবে পাকা দেয়ালের টিনশেডের সামনে শাটার দেওয়া বেশ কয়েকটি কক্ষ। কক্ষগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ দোকানের শাটার নামিয়ে তালা দিয়ে রাখা। একটিতে মুদিদোকান। পাশের কক্ষটি একটি মানবাধিকার সংস্থা ব্যবহার করছে, এমনটিই জানেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। তবে ওই সংস্থার আশুলিয়া শাখার সভাপতি জানান, কক্ষটি একই সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টিরও কার্যালয়।
তবে কক্ষটির কোথাও দলটির সাইনবোর্ড বা দলীয় কোনো প্রচার-প্রচারণার লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুনের দেখা মেলেনি। দলটির নেতাদের সহায়তা ছাড়া এ কার্যালয় খুঁজে পাওয়া মুশকিলের।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি দল বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি ও মৌলিক বাংলার কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সাভার উপজেলার আশুলিয়ার পৃথক দুটি স্থানে। গতকাল মঙ্গলবার আশুলিয়ার মাঝিপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টির কার্যালয়ে গিয়ে এমন তথ্য ও চিত্র পাওয়া যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশুলিয়ার বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইপাইল এলাকার দিকে সামান্য এগোলেই সড়কের বাঁ পাশে মাঝিপাড়া। ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছে বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টির ঠিকানা জানতে চাওয়া হলে কেউ দলটি চেনেন না বলে জানান। মুঠোফোনে দলের নেতাদের সহায়তা নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁরা দলটি চিনতে পারেননি। পরে মো.
মো. খাইরুল আলম বলেন, তিনি দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি। এই অফিস বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পার্টি ব্যবহার করে। ওই পার্টির সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত। কমিটিতে পদের জন্য নাম দেওয়া হয়েছে বলে একবার তাঁকে বলা হয়েছিল। তবে পরে কী পদ দেওয়া হয়েছে বা দেওয়া হয়নি, সেটি এখনো জানানো হয়নি।
ছোট আকৃতির ওই কক্ষের ভেতরের দিকের একটি দেয়ালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার আশুলিয়া থানা কমিটির একটি ব্যানার ঝোলানো। একটি বড় চেয়ার, ছয়টি প্লাস্টিকের চেয়ার, একটি টেবিল, একটি সিলিং ফ্যান ও দুটি লাইট আছে কক্ষটিতে। ওই কক্ষের পাশের একটি কক্ষে আছে মুদিদোকান। বাকিগুলো তালাবদ্ধ।
সাভারের আশুলিয়ার ঠিকানায় গিয়ে মৌলিক বাংলার কার্যালয়ের এমন হাল দেখা গেছেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভাষা আন্দোলনের তাত্ত্বিক বিষয় আমাকে আকর্ষণ করেছিল’
ছবি: প্রথম আলো