চাঁদাবাজির অভিযোগে আগেই বহিষ্কার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের দুই নেতা। এবার তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে এক সাধারণ শিক্ষার্থীর পথরোধ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন।

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতারা হলেন–বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব ও কর্মী হাসিবুল ইসলাম হাসিব। এর আগে ছাত্রলীগ নেতার কাছে চাঁদাবাজিসংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় সংগঠন থেকে তাদের অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

লিখিত অভিযোগে জসিম উদ্দিন বলেন, গত মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজ শেষে বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুরা বুধপাড়া জিয়া স্কুল রোড এলাকায় হাঁটছিলেন তিনি। এ সময় বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা আহসান হাবীব, হাসিব, বিশালসহ ১০-১২ জনের মোটরসাইকেল বহর পথরোধ করে। তাঁকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে বিগত সময়ের ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের ছবি দেখিয়ে রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একপর্যায়ে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের জানাই, হলে থাকার জন্য কিছু বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অংশ নিই, কিন্তু কখনও কোনো ছাত্র নির্যাতন বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পক্ষে সক্রিয় ছিলাম– এই প্রমাণও দিই। তবুও তারা আমাকে মারধর করেন। পরে দেড় হাজার টাকা দিয়ে কোনোমতে ছাড়া পাই।’ তাঁর অভিযোগ, তারা হুমকি দিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি তাঁর।

তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আহসান হাবিব। তাঁর ভাষ্য, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জসিম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিবের ক্যাডার। শাহ মখদুম হলসহ পুরো ক্যাম্পাসে তিনি চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। বিশেষ কারও মদদে ছাত্রদলকে হেয় করার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যাচার করছেন জসিম। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

তাসকিন–মিরাজ শোনালেন বন্ধুত্বের গল্প

‘বন্ধুত্ব হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেল, সে গুপ্তধন পেল।’
জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ নিটশের এই বাণী মানলে তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ‘গুপ্তধন’–এর মালিক। মিরাজের আছে তাসকিন নামের ‘গুপ্তধন’ আর তাসকিনের আছে মিরাজ নামের ‘গুপ্তধন’। কারণ, তাঁরা শুধু জাতীয় দলে সতীর্থ নন, ভালো বন্ধুও।

কিন্তু বন্ধুত্বের গল্প আর কতটা খুলে বলা যায়? যতই বলবেন, বাকি তো থেকে যাবেই! তবে মিরাজ ও তাসকিনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কতটা গাঢ়, তার একটা আঁচ পাওয়া গেল প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্রর সঙ্গে দুজনের জমাট আড্ডায়। প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের পর উৎপল শুভ্রর নেওয়া সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁদের বন্ধুত্বের গল্প।

তাসকিন-মিরাজ এখন দুজনই দেশের ক্রিকেটে বড় তারকা। কিন্তু কেউই তারকা হয়ে জন্ম নেন না। তাঁদের আজকের এই খ্যাতি অনেক পরিশ্রম ও নিবেদনের ফসল। আর সেই পথে সব সময় একে অন্যের পাশে ছিলেন তাসকিন ও মিরাজ। দুজনই অনূর্ধ্ব–১৫ থেকে খেলছেন একসঙ্গে। যদিও জাতীয় দলে অভিষেক ভিন্ন সময়ে। ক্যারিয়ার গ্রাফটাও ঠিক একই রকম নয়। তবে এই উত্থান-পতনে দুজন ছিলেন দুজনের পাশে।
সে গল্পটা তাহলে তাঁদের মুখ থেকেই শুনুন।

তাসকিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে মিরাজ কী বলছেন, ‘২০০৯ সালে আমরা অনূর্ধ–১৪ (অনূর্ধ্ব–১৫) খেলেছি। তখন দিনাজপুর বিকেএসপিতে তিনটা দলের খেলা হয়েছিল। রেড, গ্রিন আর হলুদ দল। সেখানে প্রথম দেখা। ওই থেকেই আমার সঙ্গে পথচলা শুরু। তাসকিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। যখন অনূর্ধ্ব–১৫ খেলেছি, আমি তাসকিনের বাসায় সব সময় যেতাম। তখন মোহাম্মদপুর জাকির হাসান রোডে থাকত।’

দুজনের সম্পর্কটা অনেকদিনের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ