সিরাজগঞ্জে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগে ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। তারা বিএনপির জেলা ও রায়গঞ্জ উপজেলা কমিটির নেতা। এ ছাড়া দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২১ জুন জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো.

এনামুল হক স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

শোকজ পাওয়া নেতারা হলেন- জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেন খান, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম, জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আয়নুল হক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামাল হোসেন, আমিনুল বারী তালুকদার, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য রোহিত মান্নান লেলিন, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মণ্ডল, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাতেম আলী সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম হিরন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রহিম বাদশা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আব্দুল হাশেম।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় জানান, ১৩ জনকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ প্রাপ্তির পর বেশির ভাগ নেতা জবাব দিয়েছেন। জবাব দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের পরিপন্থি হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শোকজ পাওয়া জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য রোহিত মান্নান লেলিন বলেন, ‘সেখানে জামায়াতের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। কারা স্লোগানটি দিয়েছিল আমি জানি না। অভিযোগ ওঠার পর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ করেছিলাম। এরপরও শোকজ করা হয়েছে।’  

প্রসঙ্গত ২০ জুন একসঙ্গে তাড়াশ উপজেলার শাহ শরিফ জিন্দানী (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত ও জুমার নামাজ পড়েন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এরপর জামায়াত নেতাকর্মীরা চলে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাজারের মসজিদে মিলাদ মাহফিল করেন। পাশের একটি স্কুল চত্বরে মতবিনিময় সভা শেষে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। অভিযোগ উঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা টুকু ভাইয়ের মার্কা (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু) দাঁড়িপাল্লা মার্কা স্লোগান দিয়েছেন।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ও র য়গঞ জ উপজ ল ব এনপ র স ব ক স ন ত কর ম র সদস য গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

চোর সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনি, একজনের চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা

মাদারীপুরে চোর সন্দেহে তিন জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। তাদের মধ্যে একজনের দুই চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়। এতে তার দুটি চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রবিবার (১০ আগস্ট) ভোররাতে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তিনজন হলেন- ওই এলাকার ওয়াজেদ শেখের ছেলে জাকির শেখ (৫০), একই এলাকার আলতা মাতুব্বরের ছেলে ইসরাফিল মাতুব্বর (৪০) এবং শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার (২৭)।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামে গৃহবধূকে নির্যাতনের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

গাজীপুরে সাবেক সিভিল সার্জনের বাড়িতে ডাকাতি

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুরি-ডাকাতি রোধে পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি এলাকায় নিয়মিত পাহারা দেন স্থানীয় যুব সমাজ। রবিবার ভোররাতে ওই তিনজনের রহস্যজনক চলাফেরা দেখে ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী। পরে তিনজনকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এ সময় জাকির শেখের দুই চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে গুরুতর আহত জাকির শেখকে প্রথমে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মাদারীপুরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, ‘‘এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/বেলাল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ