১৯৮২ সালে ‘সনম তেরি কসম’ ছবির টাইটেল গানে ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসেবে বলিউডে পা রাখেন মহেশ আনন্দ। কমল হাসান ও রিনা রায় অভিনীত সেই ছবিতে নেপথ্য নৃত্যশিল্পী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হলেও, ১৯৮৪ সালে ‘কারিশমা’ ছবির মাধ্যমে অভিষেক হয় অভিনয়ে। শুরুটা কঠিন ছিল, তবে ‘শাহেনশাহ’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয়ের পর পরিচিতি পান মহেশ। পর্দার এই খলনায়ককে নিয়ে বাস্তবে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। তাঁর জীবনের শেষটা তো সবচেয়ে বিয়োগান্তক।

আরও পড়ুনমধ্যরাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থী, কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল এই অভিনেত্রীর ০৬ জুন ২০২৫

‘শাহেনশাহ’র পর ‘গুমরাহ, ‘গঙ্গা যমুনা সরস্বতী’, ‘তুফান’সহ বহু ছবিতে খল চরিত্রে দেখা যায় মহেশ আনন্দকে। আশি ও নব্বই দশকে বলিউডের অন্যতম সফল খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অভিনয়ে আসার আগে তিনি ছিলেন একজন মডেল ও নৃত্যশিল্পী। কারাতেতে ব্ল্যাক বেল্টও ছিল তাঁর।

আশি ও নব্বই দশকের হিন্দি সিনেমার দর্শক মহেশ আনন্দকে চিনেছে খলনায়ক হিসেবেই। ভিলেন হিসেবে মহেশ আনন্দের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে যায় যে বছরে ছয় থেকে আটটি ছবিতে তাঁকে দেখা যেত।

অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে মহেশ আনন্দ। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনৈতিক তদবির না মানলেই ভারতের দালাল: আসিফ নজরুল

কারও অন্যায় তদবির মেনে না নিলেই ভারতের দালাল বলা হয়ে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আমার কাছে অনেক অনৈতিক তদবির আসে। সেটা যখন আমি মেনে না নেই, তখন আমার বিরুদ্ধে গাঁজাখুরি কাহিনি প্রচার করা হয়। ভারতের দালাল বলা হয়। অতীতে কার সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল, সেটা সামনে আনা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

সভায় ‘মব’ সংস্কৃতি, সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা, জাতীয় প্রেস ক্লাব দখল, বেতার–বিটিভির ভূমিকা, জুলাই পরবর্তী সময়ে ১৫ সাংবাদিক গ্রেপ্তার ও ২৬৬ জনের নামে মামলা ইত্যাদি বিষয় স্থান পায়।

আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার কোনো সাংবাদিকের নামে মামলা দেয়নি। কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা দিলে তখন সরকারের কিছু করার থাকে না। 

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ অসংখ্য মিথ্যা মামলা নিয়েছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশের মরাল অথরিটি ছিল না। এ জন্য মামলা নিতে বাধ্য হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলের আগে থেকেই সাংবাদিকরা বিভক্ত হয়েছেন। তারা প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্টকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ