রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের দখলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ফ্ল্যাট
Published: 26th, June 2025 GMT
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকায় কক্সবাজার শহরের সাবেক পৌর মেয়র মুজিবর রহমানের নাম আছে। তিনি আওয়ামী লীগেরও নেতা। শহরে নিজের বাড়ি থাকার পরও ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন একই দলের নেত্রী টিপু সুলতানা। তালিকায় আরও আছেন স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলরের বোন ও তাঁর স্বামী।
কক্সবাজার শহরের প্রধান নদী বাঁকখালী। এ নদীর পূর্ব-উত্তর পাড়ের খুরুশকুল এলাকায় গড়ে উঠছে ৪ হাজার ৪০৯ জন জলবায়ু উদ্বাস্তুর জন্য আবাসন প্রকল্প। এখানে ২৫৩ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচতলাবিশিষ্ট ১৩৭টি ভবন। ভবনগুলোর নামকরণ হয়েছে বিভিন্ন নদী, গাছ ও ফুলের নামে। এখানে পয়োনিষ্কাশন ও রাস্তার নির্মাণকাজ এখনো চলছে।
২০১৭ সালে ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নামে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে ৬০০ পরিবারকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো নেওয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আবাসন প্রকল্পে প্রকৃত উদ্বাস্তুদের অধিকাংশেরই ঠাঁই হয়নি। বরং রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের অনেকেই প্রকল্পের ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন।
ফ্ল্যাট বরাদ্দে নানা অনিয়মের বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরকে জানিয়েছি। এখন যে সিদ্ধান্ত আসে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারস্থানীয় সমিতি পাড়ার বাসিন্দা ফারুকুন্নেছা অভিযোগ করেন, এক দশকের বেশি সময় এখানে আছেন। অথচ এখানে থাকেন না—এমন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
জলবায়ু উদ্বাস্তু পাড়ার অন্যতম প্রবীণ ব্যক্তি মো.
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফ্ল্যাট বরাদ্দে নানা অনিয়মের বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরকে জানিয়েছি। এখন যে সিদ্ধান্ত আসে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করার সময় উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য মূলত আবাসন প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। বসতিগুলো ছিল খুরুশকুলের পশ্চিম পাশে। এখানকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরার টেক, মোস্তাকপাড়া, সমিতিপাড়া, ফদনার ডেইল, কুতুবদিয়াপাড়া, বাসিন্নাপাড়াসহ মোট ২১টি মহল্লা। এর সব কটিই সরকারের খাসজমি।
২০১৭ সালে ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নামে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে ৬০০ পরিবারকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।প্রাকৃতিক দুর্যোগে কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চল মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার বাস্তুচ্যুত লোকজন ১৯৮১ সাল থেকে এখানে আশ্রয় নিয়ে জনবসতি গড়ে তুলেছিলেন। বিমানবন্দরের জন্য তাঁদেরই উঠিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তারপর পুনর্বাসনের জন্য ২০১১ সালের দিকে ২১ মহল্লার ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবারের একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস আই এম আকতার কামাল, জেলা প্রশাসন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে এ তালিকা প্রণয়ন করেন। ২০১৬ সালে ওই তালিকা হালনাগাদ করা হয়। এ সময় বাদ দেওয়া হয় এক হাজারেরও বেশি উদ্বাস্তুকে।
নীতিমালা ভেঙে প্রভাবশালীদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ
ফ্ল্যাট বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী, তালিকায় কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ২১ মহল্লার হতদরিদ্র ভূমিহীনদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। অথচ অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ তালিকায় যেমন আছেন তৎকালীন সরকারি দলের লোকজন, তেমনি আছেন এখনকার বড় দলের প্রভাবশালীরাও।
ফ্ল্যাট পেয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আকতার কামালের বোন মিনা বেগম ও তাঁর স্বামী খালেদ মোশাররফ। এই দম্পতি কুতুবদিয়ায় থাকেন, তাঁরা ২১ মহল্লার বাসিন্দা নন। ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব শাখার সভাপতি আবুল বশর, পশ্চিম শাখার সভাপতি সাবেরের মেয়ে তানিয়া, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নুর উদ্দিন, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আতিক উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ উদ্দিন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার, ওয়ার্ড যুবলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের নেত্রী টিপু সুলতানা এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মো. হানিফ। এ ছাড়া ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত খোরশেদ, আবু তাহের, সিরাজুল করিম ও জিল্লুল করিম।
ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক সরওয়ার আলম ও জেলা যুবদলের তৎকালীন আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক দিদারুল ইসলাম। এ ছাড়া তালিকায় স্বামী ও স্ত্রী দুজনের নামেই ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
ফ্ল্যাট বরাদ্দ ও তালিকায় উদ্বাস্তুদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে—জানতে চাইলে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আকতার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্প এলাকায় বসবাস করার একটা নীতিমালা আছে। কিন্তু তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো নীতিমালা ছিল না। ২০১১ সালে সরেজমিনে যাঁদের পাওয়া গেছে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে তালিকা আবার হালনাগাদ হয়। সাবেক কাউন্সিলর আকতার কামাল ফ্ল্যাট বরাদ্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো নীতিমালা ছিল না বললেও জেলা প্রশাসন থেকে প্রথম আলোকে জানানো হয় ফ্ল্যাট বরাদ্দ নীতিমালা আছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে কারা হতদরিদ্র, কারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল—এসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে যাঁরা ক্লাইমেট রিফিউজি, তাঁরা ৯৯ পারসেন্ট গরিব।’
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত আধুনিক ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ল য ট বর দ দ ন ল গ র তৎক ল ন আকত র ক ম ল প রথম আল ক ন প রকল প তৎক ল ন স প রকল প র র জন য পর ব র জলব য় মহল ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
হলে রাজনীতির ‘রূপ’ কেমন হবে, আলোচনা হলেও সিদ্ধান্ত হয়নি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের একটি অংশের উদ্যোগে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রকাশ্য ও গুপ্ত—দুই ধরনের রাজনীতিই বন্ধ চায়। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিভিন্ন হলে সুস্থধারার রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে। তবে গুপ্ত রাজনীতির বিরোধী তারা। হলে রাজনীতির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
হল ও ক্যাম্পাসে রাজনীতির ‘রূপ’ কেমন হবে, এ বিষয়ে গতকাল রোববার বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্রশিবিরের নেতারা অংশ নেওয়ায় বৈঠকের শুরুতেই ‘ওয়াকআউট’ করেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ–বিসিএলের নেতারা। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের আগে গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি ছিল। সে কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের ভয়, আশঙ্কা ও ট্রমা রয়েছে। হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতির রূপ কেমন হওয়া উচিত, এ বিষয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করেছেন তাঁরা। কারণ, সামনে ডাকসু নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে সব ছাত্রসংগঠনের পূর্ণ ভূমিকা প্রয়োজন এবং তাঁরা চান সবাই অংশ নিক।
এই বৈঠকের আগে গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল। এর প্রতিবাদে সেদিন রাতে হলে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মিছিল হয়, কয়েক শ শিক্ষার্থী প্রথমে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন, পরে তাঁরা ভিসি চত্বরে যান। সেখানে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান শিক্ষার্থীদের বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটি বহাল থাকবে। অর্থাৎ, হলে ছাত্ররাজনীতি থাকবে না।
কিন্তু উপাচার্যের এই বক্তব্যে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৈঠকের পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করতে তাঁরা অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া ছাত্রদলের রাজনীতি করার কারণে কেউ যাতে ‘মব’–এর মাধ্যমে হেনস্তার শিকার না হন, প্রশাসনের কাছে এই দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
অবশ্য প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রসংগঠনগুলোর বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠকের বিষয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা হল ও একাডেমিক এরিয়ায় (যেখানে শ্রেণি কার্যক্রম চলে) প্রকাশ্য ও গুপ্ত—দুই ধরনের রাজনীতিই বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আলোচনায় ছাত্র অধিকার পরিষদও হলে ছাত্ররাজনীতি না থাকার বিষয়ে মত দিয়েছে। অবশ্য কিছু সংগঠন হলে রাজনীতি থাকার বিষয়ে মত দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রশিবির কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।
বৈঠক শেষে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, হলে রাজনীতির ধরন কেমন হবে, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ই–মেইলের মাধ্যমে মতামত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতারা নিজেদের বক্তব্য দেওয়ার পর বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। এই নেতাদের মধ্যে ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ’৯০–এর ‘সামাজিক চুক্তির’ (তখন ক্যাম্পাসে সক্রিয় সংগঠনগুলোর সম্মিলিত সিদ্ধান্ত) মাধ্যমে শিবিরকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গণ–অভ্যুত্থানের পর কোনো রকম প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ছাড়াই তাদেরকে আবার কীভাবে নর্মালাইজ (স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া) করা হলো, এ বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রশিবিরকে নর্মালাইজ করার রাজনীতি করছে প্রতিবার। যারা গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে, তাদেরকে পলিটিক্যাল স্পেস দেওয়া যাবে না।’