ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো জাঁকজমকভাবে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ছাড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে নবাব সলিমুল্লাহর জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ঢাকাই সিনেমার নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম। তার আরেকটি পরিচয়- তিনি ঢাকার নবাবদের বংশধর তথা নবাব সলিমুল্লাহর প্রপৌত্র।

অনুষ্ঠানে নাঈম বলছেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ আমার আব্বার আপন দাদা ছিলেন। সেই সূত্রে আমি তাঁর প্রপৌত্র। আমাদের পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়েছে। কথা বলার সুযোগ দিয়েছে। আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ড.

আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন ও মুহাম্মদ ওমর ফারুক স্যারকে। দিনজুড়ে ছিল আয়োজন। শিক্ষার্থীরাও দিনটি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেছেন। নবাব সলিমুল্লাহ সম্পর্কে তাঁদের আগ্রহ দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।’

অনুষ্ঠানে নাঈম বলেন, আমাদের পরিবার কিন্তু অবিভক্ত ভারত থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। নবাব সলিমুল্লাহ সাহেব সেই ব্রিটিশ আমলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জায়গা দান করেছিলেন। তখন বাংলাদেশ তো দূরের কথা, পাকিস্তানেরও জন্ম হয়নি। ক্ষণজন্মা এই গুণী মানুষ মাত্র ৪৩ বছর বেঁচেছিলেন। এই স্বল্প সময়ে তিনি এখানকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। মুসলিম লীগের মতো দলকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অথচ গত কয়েক দশকে মহান এই মানুষটির অবদান অস্বীকার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কোনো জন্মদিন বা মৃত্যুদিন পালিত হয়নি। আমরা যখন স্কুলে পড়েছি, তখন সলিমুল্লাহকে নিয়ে পাঠ্যসূচিতে অধ্যায় ছিল। সেটাও পরে তুলে দেওয়া হলো। তাহলে বর্তমান প্রজন্ম তাঁর সম্পর্কে জানবে কিভাবে?’

দাবি প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম প্রতিবছর যেন তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। তার নামে একটা রিসার্চ কেন্দ্র করা হয় এবং পাঠ্যসূচিতেও তাকে যেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আমাদের দাবি তারা সানন্দে মেনে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের পরিবার ভীষণ কৃতজ্ঞ।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল

২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’

২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’

জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ