কাঠগড়ায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের এক ঘণ্টা
Published: 26th, June 2025 GMT
সময় তখন বেলা দেড়টা। দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে হাজতখানা থেকে ঢাকার চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এজলাসকক্ষে নেওয়া হয়। কাঠগড়ায় তোলার পর হাবিবুল আউয়াল মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় একজন পুলিশ কনস্টেবল তাঁর কাছে এগিয়ে যান। সাবেক সিইসির মাথায় পরিয়ে দেওয়া হেলমেটটি খুলে দেন তিনি। দুই হাত পেছনে নিয়ে পরিয়ে দেওয়া হাতকড়াও খুলে দেন।
তখন হাবিবুল আউয়াল তাঁর চশমা খুলে শার্টের বুকপকেটে রাখেন। তিনি কাঠগড়ার লোহার রেলিং ধরে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার সিএমএম মোস্তাফিজুর রহমান এজলাসে আসেন।
তখন সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার বিচারকের দিকে তাকান। শেরেবাংলা নগর থানায় করা এক বিএনপি নেতার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কেন রিমান্ডে নিতে চান, তাঁর ১১টি কারণ পর্যায়ক্রমে বলতে শুরু করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য শেষ হলে সাবেক এই সিইসিকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
বেলা দুইটার দিকে রিমান্ড বিষয়ে পিপির বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কাজী হাবিবুল আউয়াল আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান। আদালতের অনুমতি দিলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আজ অনেকেই অনেক কথা বলছেন; কিন্তু মাননীয় আদালত, আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোনো প্রকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কোনো অর্থ আত্মসাৎ করিনি। তবে আমি বলছি, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা না হওয়ার কারণে একতরফা নির্বাচন হয়েছে।’
এ পর্যায়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে থামিয়ে দেন সিএমএম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রশ্ন করেন, আপনার সময় কেন নির্বাচনের ইনকোয়ারি কমিটির অস্বাভাবিক ভাতা বৃদ্ধি হয়েছিল?
জবাবে হাবিবুল আউয়াল আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত, পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে ভাতা বাড়ানো হয়েছিল।
সিএমএম তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আমিও তখন একটি জেলা আদালতের যুগ্ম জেলা জজ ছিলাম। আমরা জানতাম, নির্বাচনের সময় ইনকোয়ারি কমিটির প্রধানদের ভাতা সাধারণত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা হয়; কিন্তু আমরা দেখলাম, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ইনকোয়ারি কমিটির প্রধানদের ভাতা ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কেন নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের এত অস্বাভাবিক ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল?’
সিএমএমের এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এ সময় সিএমএম আবারও হাবিবুল আউয়ালের কাছে জানতে চান, আপনি বলছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন হয়েছে, প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। তাহলে আপনি কেন তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন না? আপনার তো তখন রিজাইন (পদত্যাগ করা) দেওয়া উচিত ছিল?
এ সময় হাবিবুল আউয়াল বলেন, মাননীয় আদালত, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছিল।
হাবিবুল আউয়ালের মুখ থেকে এ কথা শোনার পর সিএমএম বলেন, আপনি তো আপনার সময়ের একজন সেরা অফিসার ছিলেন। আপনার কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল।
সিএমএম এ কথা বলার পর হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমাদের অবশ্যই ব্যর্থতা আছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা না হলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। দলীয় সরকারের অধীন ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।’
কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের এক পর্যায়ে আদালতে উপস্থিত একদল আইনজীবী তাঁকে ‘হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল’ আখ্যায়িত করতে থাকেন। তখন খেপে গিয়ে আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাকে একটা রিভলবার দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলেন।’
পরে তিনি আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত, নির্বাচনের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচনে কারচুপি হলে সেটি দেখার দায়িত্ব তাদের।
এ সময় হাবিবুল আউয়াল আত্মপক্ষ সমর্থন করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তখন তার তীব্র বিরোধিতা করেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি দাঁড়িয়ে বলতে থাকেন, ‘কাজী হাবিবুল আউয়াল সাহেব, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাধু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনি ডামি নির্বাচন করেছেন, প্রহসনের নির্বাচন করেছেন, আপনি আপনার কথা বলেন। আরেকজনের কথা আপনি বলতে পারেন না।’
রিমান্ডের পক্ষে যেসব যুক্তি দিল পুলিশ
সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে কেন রিমান্ডে নিতে চান, সে কারণগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামসুজ্জোহা।
সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন; কিন্তু তিনি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সম্পন্ন না করে কেন একটি দলকে নিয়ে ডামি নির্বাচন করলেন?
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মাননীয় আদালত, উনি সার্চ কমিটির সঙ্গে একাধিকবার তখন যোগাযোগ করেছিলেন। কেন তিনি সার্চ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, সেটি জানা জরুরি।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, কেন তিনি ডামি নির্বাচন করার জন্য সংসদীয় আসন ভেঙে আওয়ামী লীগ প্রভাবাধীন এলাকা নিয়ে সংসদীয় আসন করেছিলেন? কমপক্ষে ৬০টি ডামি আসন নিশ্চিত করার জন্য কাদের তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন? কেন তিনি নির্বাচনের সময় নির্বাচনের কাজে জড়িত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অস্বাভাবিক বেতন বৃদ্ধি করেছিলেন?
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন তিনটার সময় সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সকাল আটটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়েছে। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর এই আসামি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। কার ইন্ধন ও পরামর্শে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছিলেন? কেন তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা না করে একটি ডামি নির্বাচন করে গেজেট প্রকাশ করেন? কেন তিনি কোটি কোটি সাধারণ ভোটারকে বঞ্চিত করে একটি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন? ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যে ব্যয় হয়েছে, সেটি কি কেবল একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য করা হয়েছিল?
এই পুলিশ কর্মকর্তা যখন কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে কারণগুলো আদালতের কাছে তুলে ধরেন, তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবুল আউয়াল তা একমনে শুনছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মাননীয় আদালত, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদটি সাংবিধানিক পদ। তিনি ডামি নির্বাচন করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন।
শুনানিতে পিপি যা বললেন
রিমান্ড বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ‘কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে একটি ডামি নির্বাচন উপহার দেন। এ নির্বাচন করা হয়েছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য। ওই ডামি নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াত কিংবা কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে এল না; কিন্তু হাবিবুল আউয়াল ওই নির্বাচন করে ফেললেন। উনি তখন মিডিয়াকে বলেছিলেন, কেউ না এলে কি আমি নির্বাচনের জন্য বসে থাকব?’
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদটিও সাংবিধানিক। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সবাই জানেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কেমন হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার ছিল না, ফাঁকা ভোটকেন্দ্রে কুকুর-বিড়াল শুয়ে ছিল। সেদিন বেলা তিনটার পর তিনি ঘোষণা দিলেন, সারা দেশে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। ভোট পড়েছে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর এক ঘণ্টা পর তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে ঘোষণা দিলেন, ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। এত কম সময়ের ব্যবধানে ভোট বৃদ্ধির এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, তিনি নাকি এক ঘণ্টার জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলেন?
পিপি আরও বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের আগে বেতন–ভাতা ছিল অনেক কম; কিন্তু হাবিবুল আউয়াল কী করলেন? ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্যদের বেতন-ভাতা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে লক্ষ কোটি ভোটারকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, হাবিবুল আউয়াল অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, ডামি নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচন তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। একতরফা ডামি নির্বাচনের ব্যয়ের হিসাব তিনি দেননি। তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ডামি নির্বাচন করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ করেছেন।
পিপির বক্তব্যের পর কাজী হাবিবুল আউয়ালের আইনজীবী রিমান্ডে বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, উনি একজন ৭০ বছর বয়সী মানুষ। ওনার শারীরিক অনেকগুলো জটিলতা রয়েছে।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কাজী হাবিবুল আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তখন বেলা আড়াইটার কিছু আগে হাবিবুল আউয়ালকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওমর ফ র ক ফ র ক হ ব ব ল আউয় ল হ ব ব ল আউয ২০২৪ স ল র কর ছ ল ন স এমএম য গ কর ম নন য কম ট র র জন য কর ছ ন আপন র করল ন ক ঠগড
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ, হাবিবুল আউয়ালের ১০ দিন রিমান্ড চায় পুলিশ
দিনের ভোট রাতে করাসহ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের ধারা যুক্ত করার বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ আবেদন করলে গতকাল বুধবার তা মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানা যায়।
প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে সাবেক তিন সিইসিসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। মামলায় ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।
মামলায় গত রোববার নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সোমবার তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অন্যদিকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গতকাল সকালে রাজধানীর মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মামলায় হাবিবুল আউয়ালকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ সকালে এই আবেদন করা হয়।