রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) এক নেতাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন আরেক নেতা। 

বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরের রানীবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে। রেস্তোরাঁটির মালিক এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম।

আহত নেতার নাম ফিরোজ আলম। তিনি জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী। তার বাড়ি রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায়। কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। নাহিদুলের বাড়ি রাজশাহীর কাটাখালী এলাকায়।

আহত ফিরোজ আলম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার খাতায় দেখা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় তাকে এই ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ওয়ার্ডে তাকে চিকিৎসাধীন দেখা যায়।

এসময় কথা বলতে চাইলে অনুমতি দেননি ফিরোজ আলমের স্ত্রী সাথী খাতুন। তিনি জানান, চিকিৎসক ফিরোজ আলমকে কথা বলতে বারণ করেছেন। 

সাথী বলেন, ‘‘গতকালের চেয়ে আজ আমার স্বামী একটু ভালো আছেন। তবে এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।’’

রাজশাহী জেলা এনসিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাতে জেলা সমন্বয় কমিটির নেতারা প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের রেস্তোরাঁয় বসেছিলেন। এসময় নাহিদুল ইসলাম ও ফিরোজ আলমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাহিদুল ইসলাম উঠে গিয়ে ফিরোজ আলমের বুকে লাথি মারেন। এরপর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামসহ অন্য নেতারা তাকে আটকান। 

পরে নাহিদুল সেখান থেকে চলে যান। এরপর ফিরোজ আলম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এনসিপির জেলা সমন্বয়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘এটা সমাধান হয়ে গেছে। আমি হাসপাতালের সামনেই আছি। ফিরোজের কাছে যাচ্ছি।’’

কী নিয়ে মারামারি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এটা ব্যক্তিগত না, আবার সাংগঠনিক বিষয়ও না। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সমাধান হয়ে গেছে। এখন সমস্যা নেই।’’

কীভাবে সমাধান হলো জানতে চাইলে নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের জেলার প্রধান সমন্বয়কারী এবং কেন্দ্রের ভাইয়েরা দুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটা নিয়ে আর বলতে চাই না।’’

ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ দ ল ইসল ম ন হ দ ল ইসল ম ফ র জ আলম এনস প র কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললেন ঢাবি ভিসি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার বিষয়টি জানালেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।

গতকাল ঢাবির ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এদিন রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। রাত ১টার পর আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ঢাবি উপচার্য বলেন, “২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে এবং প্রত্যেক হল প্রশাসন এই নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত হল কমিটি নিয়ে সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন তিনি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে হল পলিটিক্সের সম্পূর্ণ অবসান দাবি করেন।

এসময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে—

ছাত্রদল কেন কমিটি দিলো উপাচার্যকে জবাব দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, বামসহ হলে এক্সিসটিং গুপ্ত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একাডেমিক এরিয়ায় রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে ছাত্ররাজনীতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিতে হবে; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব হল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে; হল প্রভোস্টদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দ্রুত ডাকসু বাস্তবায়ন করতে হবে।

ঢাকা/সৌরভ/ইভা  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ 
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরো একজন গ্রেপ্তার
  •  রূপগঞ্জে সড়কে ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার ২
  • শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললেন ঢাবি ভিসি