রাজশাহীতে এনসিপির এক নেতাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন আরেক নেতা
Published: 27th, June 2025 GMT
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) এক নেতাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন আরেক নেতা।
বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরের রানীবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে। রেস্তোরাঁটির মালিক এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম।
আহত নেতার নাম ফিরোজ আলম। তিনি জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী। তার বাড়ি রাজশাহীর খড়খড়ি এলাকায়। কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। নাহিদুলের বাড়ি রাজশাহীর কাটাখালী এলাকায়।
আহত ফিরোজ আলম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার খাতায় দেখা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় তাকে এই ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ওয়ার্ডে তাকে চিকিৎসাধীন দেখা যায়।
এসময় কথা বলতে চাইলে অনুমতি দেননি ফিরোজ আলমের স্ত্রী সাথী খাতুন। তিনি জানান, চিকিৎসক ফিরোজ আলমকে কথা বলতে বারণ করেছেন।
সাথী বলেন, ‘‘গতকালের চেয়ে আজ আমার স্বামী একটু ভালো আছেন। তবে এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।’’
রাজশাহী জেলা এনসিপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাতে জেলা সমন্বয় কমিটির নেতারা প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের রেস্তোরাঁয় বসেছিলেন। এসময় নাহিদুল ইসলাম ও ফিরোজ আলমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাহিদুল ইসলাম উঠে গিয়ে ফিরোজ আলমের বুকে লাথি মারেন। এরপর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামসহ অন্য নেতারা তাকে আটকান।
পরে নাহিদুল সেখান থেকে চলে যান। এরপর ফিরোজ আলম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এনসিপির জেলা সমন্বয়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘এটা সমাধান হয়ে গেছে। আমি হাসপাতালের সামনেই আছি। ফিরোজের কাছে যাচ্ছি।’’
কী নিয়ে মারামারি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এটা ব্যক্তিগত না, আবার সাংগঠনিক বিষয়ও না। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সমাধান হয়ে গেছে। এখন সমস্যা নেই।’’
কীভাবে সমাধান হলো জানতে চাইলে নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের জেলার প্রধান সমন্বয়কারী এবং কেন্দ্রের ভাইয়েরা দুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটা নিয়ে আর বলতে চাই না।’’
ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ দ ল ইসল ম ন হ দ ল ইসল ম ফ র জ আলম এনস প র কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সাখাওয়াত-টিপু
বৈরী আবহাওয়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও বন্দর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা উপজেলার সাবদীবাজার শ্রী রক্ষাকালী মন্দির পূজা মন্ডপ, দিলঘদী কলাগাছিয়া শুভকরদী পূজা মন্ডপ, সাবদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির পূজা মন্ডপ, মিরকুন্ডী শ্রী শ্রী সাধু পরেশ মহাত্মা আশ্রম পূজা মন্ডপ, শ্রী শ্রী ব্রহ্মা মন্দির ও উপাসনালয় পূজা মন্ডপ, ঋষিপাড়া পূজা মন্ডপ, প্রেমতলা পূজা মন্ডপ, লাঙ্গলবন্দ স্নান সেবা কেন্দ্র পূজা মন্ডপ, লাঙ্গলবন্দ রাজঘাট পূজা মন্ডপ, আড্ডা শ্যামপুর পূজা মন্ডপসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
এসময় তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন এবং পূজার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ লিটন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধান, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।