চট্টগ্রামে তেল পরিবহনে নিয়োজিত একটি ট্রেনের চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে নগরের সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লাইনচ্যুত সব ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

রেলওয়ের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জ্বালানি তেল বহনে ব্যবহৃত ট্যাংক ওয়াগনগুলো খালি ছিল। এগুলো তেল নেওয়ার জন্য নগরের চিটাগং গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে নগরের নিউমুরিং এলাকার তেল কারখানাগুলোতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় ওয়াগন চারটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর এগুলো উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত চারটি ট্যাংকের মধ্যে দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুটি উদ্ধারে কাজ চলমান। রেলের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিউমুরিং এলাকা থেকে তেলবাহী ট্যাংকগুলো চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও দোহাজারী, সিলেট ও রংপুর পাঠানো হয়।

নগরের নিউমুরিং স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সিজিপিওয়াই থেকে রাতে ট্যাংক ওয়াগনগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তেল ভরার জন্য। দুপুরে তেল নেওয়ার পর বিকেলে গন্তব্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন উদ্ধারে কাজ চলছে।

এর আগে ১৯ জুন চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানিবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। ওই দিন দুপুরে নগরের আমিন জুট মিল থেকে অক্সিজেন সেকশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে ছিল প্রায় চার ঘণ্টা। চট্টগ্রাম নগর থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছিল ট্রেনটি। চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশন ছেড়ে হাটহাজারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। আট দিনের ব্যবধানে আবার জ্বালানি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ল ইনচ য ত দ র ঘটন নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ