চট্টগ্রাম নগরের সল্টগোলা এমবিপি গেট এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালানো হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটলেও কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

নিউমুরিং স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, সিজিপিওয়াই থেকে রাতে ট্যাংক ওয়াগনগুলো তেল ভরার জন্য নেওয়ার পথে লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধারকাজ চলমান। ওয়াগনগুলোর ট্যাংক খালি ছিল। তাই তেমন কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, চিটাগং গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে নিউমুরিং এলাকায় যাওয়ার পথে এমবিপি গেট এলাকায় চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত তিনটি ওয়াগন উদ্ধার করা হয়েছে। নিউমুরিং এলাকা থেকে তেলবাহী ট্যাংকগুলো হাটহাজারী, দোহাজারী, সিলেট ও রংপুরে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত

এছাড়াও পড়ুন:

রাস্তার গর্ত ভরাটের নাম করে অবৈধ বালু ব্যবসা

কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু রাস্তার পাশে ফেলে গর্ত ভরাটের নাম করে এখন তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে একটি চক্র। খারনৈ ইউনিয়নের গজারমারি এলাকার ভেলুয়াতলিতে এই ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগে এলাকাবাসীর সামনে রাস্তার গর্ত ভরাটের অজুহাতে পাহাড়ি নদী ডেনকি থেকে উত্তোলিত বালু ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সেই বালু লুকিয়ে রাখা এবং পরে তা বিক্রি করা। অভিযোগ রয়েছে, এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তি, যার সঙ্গে আরও অন্তত চারজন জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরাসরি ভেকু দিয়ে বালু তুলে ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় একজন বলেন, প্রথমে বলেছিল রাস্তার গর্ত ভরাট করবে। এখন দেখা যাচ্ছে সেই বালুই বিক্রি করছে ট্রলিতে করে। প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।
বালু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদেক মিয়া। তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে আমাদের নিজ নামে জমি রয়েছে। অনেক আগেই আমরা সেই গর্তে ডেনকি নদীর বালু ফেলেছিলাম। এখন এলাকার উন্নয়নের কাজে সেই বালু নেওয়া হচ্ছে।’
তবে সাদেক মিয়ার দাবি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাদের ভাষ্য, এটি অবৈধ বালু ব্যবসার একটি কৌশল। তারা দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, ‘খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ