Risingbd:
2025-11-17@08:20:46 GMT

সারা দেশে রথযাত্রা উৎসব

Published: 27th, June 2025 GMT

সারা দেশে রথযাত্রা উৎসব

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছে।

রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুল্কপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় এই রথযাত্রা। শুক্রবার (২৭ জুন) নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে এই রথযাত্রার মহোৎসব আয়োজন করা হয়েছে সারা দেশে। যা আগামী ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

রাজশাহী: নগরীর রেশমপট্টি এলাকার ইসকন মন্দির থেকে রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার প্রতিমা স্থাপন করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন ভক্তরা। একইভাবে বোয়ালিয়ার রথবাড়ি থেকে শুরু হওয়া আরেকটি শোভাযাত্রা কুমারপাড়া, জিরোপয়েন্ট, বাটার মোড়, রানীবাজার হয়ে আলুপট্টিতে গিয়ে শেষ হয়। উৎসব ঘিরে ঢাক-ঢোল, কীর্তন, ধর্মীয় প্রতীক ও ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে নানা বয়সী মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজনে ছিল হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ এবং ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ।

আয়োজকেরা জানান, জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের পালনকর্তা। তার কৃপা লাভের আশায় ভক্তরা প্রতি বছর তাকে রথে বসিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করেন।

নাটোর: জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগরে শ্রী-শ্রী মদনমোহন মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে ১৫৫ বছরের প্রাচীন পিতলের রথে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে হাজারো ভক্তের অংশগ্রহণে রথযাত্রার সূচনা হয়।

এই রথটি স্থানীয়ভাবে ‘উপমহাদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম পিতলের রথ’ হিসেবে পরিচিত। এটির উচ্চতা ২৫ ফুট, ভিত্তি ১২ ফুট স্কয়ার। রথটিতে রয়েছে ১২টি চাকা, প্রতিটি চাকার ভেতরে পিতলের ১২টি পাত, ১২টি কোণ এবং ১১২টি পিলার।

আয়োজকরা জানান, মাধনগর মদনমোহন মন্দির থেকে রশি টেনে রথ এগিয়ে নিয়ে যান ভক্তরা। তারা নেচে-গেয়ে, ঢাক-ঢোলের শব্দে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা। পাশ্ববর্তী পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো পূণ্যার্থী রথযাত্রায় অংশ নেন।

সাভার: ঢাকার ধামরাইয়ে প্রায় ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী যশোমাধবের রথ উৎসব। আজ দুপুর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা উপস্থিত হতে শুরু করেন ধামরাইয়ে। বিকেলে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আয়োজনের। পরে ভক্তরা পাটের রশি ধরে টেনে কায়েতপাড়ার রথ খোলা থেকে মাধবের শ্বশুরালয় যাত্রাবাড়ি মন্দিরে টেনে নিয়ে যান রথটি। 

আগামী ৫ জুলাই উল্টো টানের মাধ্যমে রথযাত্রা উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। রথযাত্রা ঘিরে প্রতিবছরের মতো রথমেলা চলবে মাসব্যাপী।

মাগুরা: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে মাগুরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রশি টেনে রথ চালনা করেন। 

মাগুরা জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সহ-সভাপতি মোহন লাল রায় খোকন ঠাকুর বলেন, প্রতি বছরের মত বারও  ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে ভগবান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে।

দিনাজপুর: জেলার ফুলবাড়ী পৌর এলাকার শ্রী শ্রী শিবমন্দির থেকে রথযাত্রা বের হয়। আজ দুপুর ২টার দিকে প্রায় ৩ হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী রথ নিয়ে শ্রী শ্রী শ্যামা কালী মন্দিরে যাত্রা করেন। এর আগে সকালে শ্রী শ্রী শিব মন্দিরে পূজা করে রথ প্রস্তুত করা হয়। রথযাত্রা শুরুর আগেই হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে শিব মন্দির ও আশপাশের এলাকা। 

ফুলবাড়ী ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব মানিক মন্ডল বলেন, “ফুলবাড়ী একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উর্বর জায়গা। হিন্দুদের রথযাত্রায় যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য আমরা ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত ছিলাম।” 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, “রথযাত্রা আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোভাযাত্রায় পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া, আরিফুল, সাব্বির, শাহীন, মোসলেম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ব র রথয ত র রথয ত র র জগন ন থ মন দ র বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

রবীন্দ্রসরোবরে সুরে–ছন্দে জমজমাট নবান্ন উৎসব

অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে নবান্ন উৎসব হলো রাজধানীতে। নাচ, গান, আবৃত্তি, আলোচনায় রোববার ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর উন্মুক্ত মঞ্চে উদ্‌যাপন করা হলো ঋতুভিত্তিক এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব।

হেমন্তের বেলা শেষে ষড়ঋতু উদ্‌যাপন জাতীয় পর্ষদ আয়োজিত নবান্ন উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর ছিল ফারহানা করিমের নেতৃত্বে সমবেত নৃত্য।

নবান্নকথনে অংশ নেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এহসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল থেকে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে অগ্রহায়ণে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল ওঠে। নতুন ধান তাঁদের জীবনে নিয়ে আসে সচ্ছলতা। নিয়ে আসে আনন্দ। তবে নবান্ন কেবল ফসলের আনন্দই নয়, আমাদের লোকসংস্কৃতির একটি শক্তিশালী উপাদান। নাগরিক পরিবেশে ঋতুভিত্তিক এই উৎসবকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বসন্ত, বর্ষা, শরৎসহ ঋতুভিত্তিক উৎসবগুলো আয়োজন করা হবে।’

নবান্ন উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ ও মঞ্চের চারপাশের স্থান বর্ণাঢ্যভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। এর সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির স্টল।

আলোচনার পরে শুরু হয় গানের পালা। সাগর বাউল শুরু করেছিলেন ভবা পাগলার গান ‘বারে বারে আসা হবে না’ গেয়ে। এরপর তিনি পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘লোকে বলে লালন ফকির কোন জাতের ছেলে’ এবং রাধারমণ দত্তের গান ‘অবলারে কান্দাইয়া’। ঢোল, একতারার বাজনা, বাঁশির সুর আর লোকসাধকদের এসব মরমি গানে গানে সাগর বাউল শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।

অনুষ্ঠানে নজরুলসংগীত পরিবেশনের কথা ছিল শিল্পী ফেরদৌস আরার। তবে তিনি অসুস্থতার জন্য সংগীত পরিবেশন করতে পারেননি। এই চমৎকার অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ ও শ্রোতাদের শুভেচ্ছা জানান।

লোকশিল্পী আলেয়া বেগম পরিবেশন করেন ‘মালা কার লাগিয়া গাঁথি’সহ বেশ কয়েকটি গান। গানের ফাঁকে ফাঁকে ছিল আবৃত্তি ও কবিদের কবিতা পাঠ। এই পর্বে অংশ নেন কবি রাসেল রায়হান, রিক্তা রিনি, সানাউল্লাহ সাগর, জব্বার আল নাইম, ইসমত শিল্পীসহ অনেকে।

সংগীতশিল্পীদের মধ্যে কোহিনূর আক্তার পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের গান ‘তিন পাগলের হইল মেলা’। ডলি মণ্ডল পরিবেশন করেন ‘সব লোক কয় লালন কী জাত সংসারে’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ষড়ঋতু উদ্‌যাপন জাতীয় পর্ষদের সদস্যসচিব দীপান্ত রায়হান।

শীতের মৃদু পরশ লেগেছে রাজধানীর হাওয়ায়। হালকা কুয়াশাও জমছে আকাশে। নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে সুরে-ছন্দে বেশ খানিকটা রাত অবধি জমজমাট হয়ে উঠেছিল এই নাগরিক নবান্ন উৎসব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জানা গেল রাজামৌলির ছবির নাম, থাকছেন মহেশ বাবু-প্রিয়াঙ্কা
  • দেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদারের জয়ের গল্প আসছে
  • নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আদি নববর্ষ’ উদ্‌যাপন
  • মুগ্ধ করল নবান্ন উৎসবে ধান কাটার প্রতিযোগিতা
  • রবীন্দ্রসরোবরে সুরে–ছন্দে জমজমাট নবান্ন উৎসব
  • নবান্নের পিঠায় সুবাসিত রাবি
  • ঘূর্ণির জাদুতে বিশ্বজয় 
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব রোববার
  • পয়লা অগ্রহায়ণে ‘নববর্ষ’ উদ্‌যাপন করবে ডাকসু
  • দিনভর আনন্দ আয়োজনে সাফল্য উদ্‌যাপন