বগুড়ায় ছুটে গেলেন রিয়া মনি, চিকিৎসার জন্য হিরো আলমকে আনছেন ঢাকায়
Published: 27th, June 2025 GMT
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম বগুড়ায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তার কাছে ছুটে যান স্ত্রী রিয়া মনি।
রিয়া মনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বগুড়া এসে তার (হিরো আলম) সার্বিক বিষয় জেনেছি। তাকে নিয়ে আমি ঢাকার দিকে রওনা দিয়েছি। সেখানে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাব।’
বগুড়ায় গিয়ে রিয়া মনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লেখেন, ‘সম্পর্ক গড়ে তুলতে যেমন সময় লাগে, সম্পর্ক ভেঙে দিতেও তেমন সময় লাগে। সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মতে আর ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে।’
জানা যায়, হিরো আলমের স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে অনেকদিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তাই তিনি হতাশায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে হিরো আলমের আত্মহত্যা চেষ্টার খবর রিয়া মনি জানতে পেরে বগুড়ার দিকে রওনা দেন। যাওয়ার পথে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে এ ঘটনা শোনার পরে আমি রাওনা দিয়েছি বগুড়ায় উদ্দেশ্য। এখনও এ ঘটনার বিস্তারিত আমি জানি না। তবে শুনেছি রাতে তার বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর বাসায় ছিল। অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হিরো আলম ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহিদের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে রিয়া মনিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ দুই বন্ধুর মধ্যে আলাপ হয়। এরপর তারা পৃথক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন।
শুক্রবার ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে না পেয়ে তার বন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে যান। এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে হিরো আলমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আজ সন্ধ্যায় রিয়া মনি তাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় নিয়ে যান।
হিরো আলমের বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর সাংবাদিকদের বলেন, হিরো আলম আমার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রাতে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসে হতাশার কথা বলেন। যেখানে যান সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করে, নানান প্রশ্ন করে। একটু নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আমার বাড়িতে এসেছিল। আমার ধারণা, রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই সে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ র আলম আলম র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে