আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম বগুড়ায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তার কাছে ছুটে যান স্ত্রী রিয়া মনি।

রিয়া মনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বগুড়া এসে তার (হিরো আলম) সার্বিক বিষয় জেনেছি। তাকে নিয়ে আমি ঢাকার দিকে রওনা দিয়েছি। সেখানে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাব।’

বগুড়ায় গিয়ে রিয়া মনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি পোস্ট করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লেখেন, ‘সম্পর্ক গড়ে তুলতে যেমন সময় লাগে, সম্পর্ক ভেঙে দিতেও তেমন সময় লাগে। সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মতে আর ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে।’

জানা যায়, হিরো আলমের স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে অনেকদিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তাই তিনি হতাশায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে হিরো আলমের আত্মহত্যা চেষ্টার খবর রিয়া মনি জানতে পেরে বগুড়ার দিকে রওনা দেন। যাওয়ার পথে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে এ ঘটনা শোনার পরে আমি রাওনা দিয়েছি বগুড়ায় উদ্দেশ্য। এখনও এ ঘটনার বিস্তারিত আমি জানি না। তবে শুনেছি রাতে তার বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর বাসায় ছিল। অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হিরো আলম ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু জাহিদের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে রিয়া মনিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ দুই বন্ধুর মধ্যে আলাপ হয়। এরপর তারা পৃথক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন।

শুক্রবার ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে না পেয়ে তার বন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে যান। এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে হিরো আলমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আজ সন্ধ্যায় রিয়া মনি তাকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় নিয়ে যান।

হিরো আলমের বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর সাংবাদিকদের বলেন, হিরো আলম আমার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রাতে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসে হতাশার কথা বলেন। যেখানে যান সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করে, নানান প্রশ্ন করে। একটু নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আমার বাড়িতে এসেছিল। আমার ধারণা, রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই সে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ র আলম আলম র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো প্রতিবন্ধী ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় পুলিশ ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করে।

ওই ভ্যানচালকের নাম লিমন শেখ (২৫)। তিনি উপজেলার বুইকারা গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। চার ভাইয়ের মধ্যে লিমন শেখ বড়। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।

এলাকাবাসীদের কয়েকজন জানান, আজ সকালে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বসা অবস্থায় লিমন শেখের গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল। স্থানীয় কয়েকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে অভয়নগর থানা ও পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বলেন, লিমন শেখ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানচালক ছিলেন। তাঁর গলায় দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ভ্যানটি উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ