স্বচ্ছতার মাধ্যমে দল পুনর্গঠনে শেরপুরের নেতাদের নির্দেশ দিলেন তারেক রহমান
Published: 27th, June 2025 GMT
স্বচ্ছতার মাধ্যমে দল পুনর্গঠনে শেরপুরের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল থেকে গ্রহণযোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে সভার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন বিলম্বে কৌশল খুঁজছে কিছু দল: আসাদুজ্জামান
ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি করলে বসে থাকব না: নিপুণ রায়
বিএনপি নেতারা জানান, তারেক রহমান চাদাঁবাজি, দখল, টেন্ডারবাজিসহ বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা নেতাদের প্রতি। তিনি আগামী নির্বচনে জনসমর্থন বাড়াতে দলের সব পর্যায়ের নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফজলুর রহমান তারা, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, সফিকুল ইসলাম মাসুদ, ডা.
শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বচ্ছতার সঙ্গে সবাইকে নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছেন। দলের নাম করে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় দিতে নিষেধ করেছেন।”
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, “সাংগঠনিক ভিত্তি আরো মজবুত করতে তৃণমূল থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে কাজ করব। নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই এবং দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ন ত র ক রহম ন ল ইসল ম ব এনপ র গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতু থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন
যমুনা সেতুর ওপর থেকে রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ বৃহস্পতিবার নাট-বোল্টসহ যন্ত্রাংশ খোলার কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হয়েছে। এরপর থেকে সড়ক সেতু দিয়ে ট্রেন চলছে না। যমুনা সেতুর ওপর রেললাইনের প্রয়োজন নেই। এ কারণে সেতু বিভাগ ও রেল বিভাগের মাধ্যমে যৌথ পরিকল্পনায় সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে।
যমুনা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, রেললাইন খোলা শুরু হয়েছে। উপরিভাগে যানবাহনের জটলা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আগামীতে সেতুর দুটি লেন প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রেললাইন খুলে নেওয়া হলে সড়ক সেতুতে আরও প্রায় সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। এটা মূল সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযোগ করতে পারব। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে। এ ধরনের সেতু আন্তর্জাতিকভাবে ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত হয়। বর্তমানে যমুনা সেতুর প্রতি লেন ৬ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থ। এ কারণে দুর্ঘটনা বা যানজট হয়। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন প্রস্থ হবে প্রায় ৮ মিটার। এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। প্রশস্তকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল কো-অপারেশনের (সাসেক-২) পরিচালক ড. ওয়ালীউর রহমান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এবারের ঈদে সেতু দিয়ে এক দিনে ৬৫ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঈদের আগে-পরে বিপাকে পড়ে। সেতুর ওপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় এলেঙ্গা ও সিরাজগঞ্জসহ দুই পারে থেমে থেমে যানজট হয়। সেতুর উপরিভাগ প্রশস্ত করা হলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হয়। এর নকশায় রেলপথ ছিল না। পরে সেতুর ওপর উত্তর পাশে লোহার খাঁচা, বার ও অ্যাঙ্গেল যুক্ত করে রেললাইন বসানো হয়। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি তৈরি হয়।