Samakal:
2025-08-12@07:28:55 GMT

জাতীয় পাখি হারিয়ে যাচ্ছে কেন

Published: 27th, June 2025 GMT

জাতীয় পাখি হারিয়ে যাচ্ছে কেন

জাতীয় পাখি দোয়েলের মধুর সুরে একসময় গ্রামীণ ভোর শুরু হতো। এর মিষ্টি শিসে ঘুম ভাঙত মানুষের। প্রাণ জুড়িয়ে যেত প্রকৃতি-প্রেমিকের। ছোট আকৃতির সাদা-কালো পালকবিশিষ্ট চঞ্চল ও সংগীতপ্রিয় পাখিটি শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং আমাদের বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা কৃষি ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
দুঃখজনক হলেও সত্য; আধুনিকায়ন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বন উজাড়, বাসস্থান ধ্বংস এবং কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে আজ দোয়েল বিলুপ্তির পথে।
একসময় যেখানেই তাকানো যেত, দেখা মিলত এ পাখির, যা আজ খুবই বিরল। বাসস্থান ধ্বংস এর অন্যতম কারণ। দ্রুত নগরায়ণের ফলে বন-জঙ্গল উজাড় হচ্ছে। খোলা মাঠ, বাগান, ঝোপঝাড় কিংবা বাড়ির আঙিনা– দোয়েলের বাসস্থান আজ কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত। এ ছাড়া কৃষিক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার দোয়েলের খাদ্যশৃঙ্খলে বিষক্রিয়া ঘটাচ্ছে। যার ফলে পাখির মৃত্যুহার বাড়ছে। শিকারিদের দৌরাত্ম্যও এ পাখির 
সংখ্যা হ্রাসের উল্লেখযোগ্য কারণ। পাখিপ্রেমীদের খাঁচাবন্দি করে রাখার প্রবণতাও এদের প্রজননে বাধা সৃষ্টি করছে।
এই সংকট মোকাবিলায় কিছু স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংস্থা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বৃক্ষরোপণ এবং পাখি শিকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকেও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু সংগঠন বা সরকারের প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়। দোয়েল রক্ষায় আমাদের  সম্মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
জাতীয় পাখি হিসেবে দোয়েল শুধু একটি প্রতীক নয়। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের ধারক। আজ যদি আমরা এই পাখিকে রক্ষা না করি, তাহলে আগামী প্রজন্ম হয়তো শুধু পাঠ্যবই কিংবা টাকায় ছাপা ছবি দেখে এদের চিনবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দোয়েলের কলতান টিকিয়ে রাখতে আজই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ, কীটনাশকের ব্যবহার কমানো এবং সামাজিক বনায়নে উদ্যোগ গ্রহণের এখনই সময়। আমাদের চারপাশে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেন দোয়েল নিরাপদে বাস করতে পারে এবং আবারও তার মধুর সুরে গ্রামবাংলার ভোর জাগে।

মোসা.

মিশকাতুল ইসলাম মুমু: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
১৫ অগাস্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। তার আগেই আরো এক মাস সময় বাড়ানো হলো।

কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

কমিশন গত শুক্রবার জানিয়েছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় দফায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ