সাতক্ষীরায় দুই বিএনপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
Published: 28th, June 2025 GMT
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সাতক্ষীরায় জেলা বিএনপি।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু এ তথ্য জানিয়েছেন।এর আগে শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব পৃথক দুটি চিঠিতে এই নোটিশ জারি করা হয়।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমেদ এবং শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সার্চ কমিটির সদস্য শহিদুজ্জামান শাহীদ।
নোটিশে অভিযুক্ত দুই নেতাকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সশরীরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে কেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, দেবহাটা ও শ্যামনগর উপজেলায় তৃণমূল কমিটি গঠন ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত ২৬ জুন দেবহাটা উপজেলা বিএনপির সার্চ কমিটির যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলাকালীন জেলা বিএনপি সহ-টিম প্রধানের উপস্থিতিতে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন সার্চ কমিটির সদস্য শহিদুজ্জামান শাহীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২৭ জুন রমজাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নবায়ন ফরম যাচাই-বাছাইয়ের সময় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন এবং দলীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন।
এই দুটি ঘটনায় জেলা বিএনপি কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সদস য উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে: মহাপরিচালক
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বিজিবি হবে সীমান্তের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক। সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সুপেয় পানির প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুন্দরবনসংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপকূলীয় জনপদে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিজিবি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের আওতায় সৌরচালিত গভীর নলকূপ, পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট ও সংরক্ষণ ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দুর্গম ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। উপকূলীয় জনপদের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও লবণাক্ততার কারণে উপকূলের মানুষ পানি সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। উপকূলীয় মানুষদের প্রধান সমস্যা সুপেয় খাবার পানি।’
পানির প্রকল্প উদ্বোধন শেষ শতাধিক দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ নওফেল মাহমুদ, সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, শরীফুল ইসলাম, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের (১৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহরিয়ার রাজীব, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।