ফোন হাতে নিয়ে একবার রিল দেখা শুরু করলে কখন যে সময় চলে যায় বোঝাই যায় না। তারপর যখন খেয়াল হয় তখন মনে হয়, এভাবে সময় নষ্ট করা ঠিক হয়নি। নিজেই হয়তো নিজেকে বোঝাতে শুরু করেন, এভাবে আর সময় নষ্ট করবো না। তারপরেও বার বার একই ভুল হয়ে যাচ্ছে। এমন কিছু অ্যাপ আছে যা আপনার স্ক্রিন টাইম বাঁচিয়ে দিতে পারে। 

MysticLaunch: অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা ব্যবহার  করতে পারেন MysticLaunch। এটির মাধ্যমে আপনার হোম স্ক্রিনে সামান্য ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যাপই দেখা যাবে। এর ফলে আপনি চাইলেও যেকোনো বিনোদনমূলক অ্যাপে ঢুকতে পারবেন না। MysticLaunch ব্যবহার করা যায়, একেবারে বিনামূল্যে। পারবেন উপরি পাওনা, এটা বিজ্ঞাপনহীন।

Forest:  একটি টাইম ট্র্যাকিং অ্যাপ হলো Forest। ধরুন চাইছেন কাজে মনোনিবেশ করতে। তাহলে এই অ্যাপের মাধ্যমে ভারচুয়ালি গাছ রোপণ করতে পারেন। যতক্ষণ এই অ্যাপটি ফোনে চালু থাকবে ততক্ষণ বাড়বে গাছটি। যখন অ্যাপ থেকে বেরিয়ে যাবেন তখন গাছটিও মরে যাবে। পরবর্তীতে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ Forest চালু করা থাকলে আপনি অন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য এই অ্যাপ বেস্ট অপশন।

আরো পড়ুন:

আপনার সামনে কেউ ধীরে হাঁটলেই রাগ হয়?

জয়েন্টের ব্যথা হতে পারে কঠিন রোগের লক্ষণ

AppDetox: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনো অ্যাপ ব্লক করতে ব্যবহার করতে পারেন AppDetox.

 যেসব অ্যাপ আপনার সময় নষ্ট করে সেগুলো চাইলে ব্লক করে দিতে পারবেন। আবার কখনও ইচ্ছা হলে খুলতেও ফলে খানিকটা হলেও কমবে ফোনে মগ্ন হয়ে থাকার অভ্যাস।

Headspace: এটি হলো মেডিটেশন অ্যাপ। ধরুন দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানারকম জিনিস দেখে সময় কাটিয়েছেন, এরপর ক্লান্তি কাটাতে মেডিটেশন অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এর ব্যবহারে বাড়ে সৃজনশীলতা।

Refocus: এই অ্যাপটি শুধুমাত্র আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য। ধরুন না চাইতেও বারবার কিছু অ্যাপ বা ওয়েব সাইটে ঢু দিচ্ছেন। তারা এই অ্যাপটি ব্যবহার করত পারেন।  যে অ্যাপগুলোতে ঢুকতে চান না, সেগুলো বন্ধ করে দিতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীকে মাথায় রাখতে হবে, যা ব্লক করবেন তা চাইলেই কিন্তু আনব্লক করতে পারবেন না। ফলে যা একেবারেই প্রয়োজন নেই কেবলমাত্র সেগুলোই ব্লক করবেন এই অ্যাপ ব্যবহার করে।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন ব যবহ র করত ব যবহ র কর এই অ য প প রব ন র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

কাঠগড়ায় কাঁদলেন এনবিআরের সেই মতিউর, আদালত বললেন, ‘দুদকের জালে এখন হাজার মতিউর’

গত বছরের কোরবানি ঈদের আগে ছেলের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গ্রেপ্তার এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে আজ আদালতে দেখা গেল ভিন্ন রূপে।

আসামির কাঠগড়ায় একটি বেঞ্চে তিনি বসে ছিলেন। মুখে তাঁর লম্বা দাড়ি। মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকা। মতিউর যে বেঞ্চে বসে ছিলেন, সেই বেঞ্চের এক প্রান্তে বসেছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ। সময় তখন বেলা ১২টা ১০ মিনিট।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন তখন এজলাসে। তিনি দৈনন্দিন মামলার শুনানি গ্রহণ করছিলেন। আদালত কক্ষে দেখা যায়, মতিউর ও লায়লা মৃদু স্বরে নিজেরা কথা বলতে থাকেন। এর ২৩ মিনিট পর মতিউর রহমানদের দুর্নীতির মামলার শুনানি শুরু হয়।

শুরুতে মতিউরের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার মক্কেল মতিউর এবং তাঁর স্ত্রী কয়েক মাস ধরে কারাগারে আছেন। তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার। জামিন দিলে পলাতক হবেন না।’

আইনজীবীর বক্তব্যের পর মতিউর রহমান নিজেই আদালতে কথা বলার অনুমতি চান। এক পর্যায়ে মতিউর রহমানের আইনজীবীও মতিউরকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে মৌখিক আবেদন করেন।

আদালত অনুমতি দেওয়ার পর মতিউর আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করেন। মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠিতে আমি জানিয়েছি, কীভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

মতিউর রহমানের এই বক্তব্যের পর আদালত বলেন, ‘যখন এটি আদালতে জমা দেওয়া হবে, তখন আমি পড়ব।’

এ সময় মতিউর রহমান তাঁর হাতে থাকা একটি চিঠি আদালতে জমা দেন।

আদালতের কাছে চিঠিটি জমা দেওয়ার পর মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, কাস্টমস কর্মকর্তা থাকাকালে একজন সামরিক কর্মকর্তার রোষানলে আমি পড়ি। সেই কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে।’

হাজতখানা থেকে বের করে আদালতে নেওয়া হচ্ছে এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ