মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণশুনানির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
Published: 28th, June 2025 GMT
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গণশুনানির দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে দুপুর ১২টার দিকে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রাফিউল আজম খান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সানজিত ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা জান্নাত, রসায়ন বিভাগর শিক্ষক আবদুল লতিফ প্রমুখ।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২৪ জুন চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্থাটি। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান প্রসিকিউটর মো.
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৩ জুন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গণশুনানি হওয়ার কথা ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা কী কারণে এই গণশুনানি করলেন না? কেন তাড়াহুড়া করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করছেন? এ কারণে তাঁরা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
কর্মসূচিতে অধ্যাপক রাফিউল আজম খান বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে, কীভাবে দিনের আলোয় পুলিশের গুলিতে একজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। আবু সাঈদ ন্যায্য দাবির জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা আদালতের এখতিয়ার নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে চাই না। কিন্তু তদন্তকারী যাঁরা আছেন, তাঁদের ভূমিকা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড ঘটেছে রংপুরের মাটিতে। কিন্তু রংপুরে তাঁরা এলেও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলা, গণশুনানি করা হয়নি। যাঁরা প্রসিকিউশন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না, তাঁদের বক্তব্য নেওয়া হয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁরা একটা তারিখ ঘোষণা করলেও কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেনি।’
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সানজিত ইসলাম বলেন, যদি গণশুনানি করে তদন্তকাজ পরিচালনা করা হতো, তাহলে এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাস তৈরি হতো না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণশ ন ন ইসল ম তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল
২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’
২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’
জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল