সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার
Published: 29th, June 2025 GMT
সাতক্ষীরায় দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, নথি লুটপাট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়কসহ দুই নেতাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) সকালে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার (২৮ জুন) সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও ৩ নং ওয়ার্ড সার্চ কমিটির সদস্য মো.
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ জুন সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে সার্চ কমিটির যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছিল। এ সময় পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মনোনয়ন ফরম লুটপাট করা হয়।
এতে আরও অভিযোগ করা হয় যে, হামলাকারীরা সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য ও যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক টিমের সদস্য শেখ এবাদুল ইসলামসহ সার্চ কমিটির অন্য সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশের নির্দেশক্রমে দলীয় নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মনিরুজ্জামান মনি এবং মাসুম বিল্লাহকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঢাকা/শাহীন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ব এনপ র স ব ক র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণা, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা, ৮ জনকে কারাদণ্ড
কারারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ৮ জনের ১০ মাস করে কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকার দিতে আসার পর তাঁরা ধরা পড়েন। বিষয়টি আজ বুধবার কারা কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারের সময় জানা যায় ৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের নাম করে অন্যরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রকৃত প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার দিতে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে। লিখিত পরীক্ষার সময় কারা কর্তৃপক্ষ সব চাকরিপ্রার্থীর ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সেই ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। এভাবে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, জালিয়াতিতে যুক্ত ৮ জন প্রার্থীকে শনাক্ত করার পর বিষয়টি চকবাজার থানা-পুলিশকে জানানো হয়। থানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে স্পেশাল মেট্রোপলিটন আদালত লালবাগে উপস্থিত করলে বিচারক তাঁদের কারাদণ্ড দেন।
আসামিদের জবানবন্দি থেকে দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, চক্রের সদস্যরা নিয়োগপ্রার্থীদের বাবা, মা, ভাই বা নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তি করেন। কেউ কেউ সন্তানের পক্ষে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক দালালদের কাছে জমা দিয়ে চুক্তি করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দালালদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালত চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একটি এজাহার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।