ছাত্রদলের এক নেতাকে গুম ও হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে এই অভিযোগ দেওয়া হয়।

অভিযোগের তথ্য অনুসারে, গুম ও হত্যার শিকার এই ছাত্রদল নেতার নাম নুরুজ্জামান জনি। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নুরুজ্জামানের বাবা মো.

ইয়াকুব আলী আজ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে অভিযোগটি করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপির মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষকবিষয়ক সমন্বয়ক মো. সালাহ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, খিলগাঁও থানার ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানকে ওপরে উল্লেখিত ৬২ জন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জন মিলে অপহরণের পর গুম করেন। এরপর আসামিরা তাঁকে হত্যা করেছেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী ছাড়া অন্য যাঁদের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন—ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপির ডিবির সাবেক উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, পরিদর্শক এস এম শাহরিয়ার হাসান ও ওহিদুজ্জামান, উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস, সাবের হোসেন চৌধুরীর এপিএস আবদুল মান্নান প্রমুখ।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত নুরুজ্জামানকে অপহরণের পর গুম করেন। তাঁকে বেআইনিভাবে হেফাজতে রেখে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাঁর শরীরে ১৫ থেকে ১৬টি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার