বার্সেলোনার হয়ে দীর্ঘ দুই দশকের সম্পর্কের ইতি টানলেও কিছু হিসেব এখনও বন্ধ হয়নি। ২০২১ সালে ক্লাব ছাড়ার সময় মেসি শুধু অশ্রুসিক্ত বিদায়ই নেননি, রেখে গিয়েছিলেন একটি আর্থিক অধ্যায়ও, যার অবসান ঘটছে অবশেষে।

স্প্যানিশ দৈনিক ‘স্পোর্ত’–এর তথ্য মতে, চার বছর আগের বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধে অবশেষে পদক্ষেপ নিয়েছে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা। সাবেক অধিনায়ক লিওনেল মেসি পাচ্ছেন প্রায় ৬ মিলিয়ন ইউরো। যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮৫ কোটি টাকা।

২০২০ সালে করা মেসির শেষ চুক্তি অনুযায়ী তিনি মোট ৪৮ মিলিয়ন ইউরো পেতেন কিস্তিতে। তবে কোভিড-১৯ এর ধাক্কা ও ক্লাবের চরম অর্থসংকটের কারণে শেষ কিস্তির টাকা অনিশ্চিতই রয়ে যায়। শুধু মেসি নন, ওই সময় বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়—যেমন উমতিতি, বুসকেটস, কুতিনহো, দেম্বেলে—এমনকি তৎকালীন কোচ রোনাল্ড কোম্যানও একই সমস্যায় পড়েছিলেন।

আরো পড়ুন:

মেসি যাদুতে মায়ামির দারুণ জয়

মেসির ছায়ায় নয়, এখন আর্জেন্টিনার ফুটবল দল পুরোপুরি স্বনির্ভর

তৎকালীন ক্লাব সভাপতি বার্তামেউ আর্থিক নৈপুণ্যে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অনেকের মতে, এ কারণেই শেষ পর্যন্ত বার্সা ছাড়তে বাধ্য হন ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় মেসি।

বার্সেলোনা এখনও পুরোপুরি আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্ত হয়নি। চলতি মৌসুমেও লা লিগার রেজিস্ট্রেশন নীতিমালা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিল ক্লাবটি। দানি ওলমো ও পাউ ভিক্টরের রেজিস্ট্রেশন আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব হয়নি।

তবে, সব প্রতিকূলতার মাঝেও বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই ক্লাবের একটি দায়িত্বশীল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বর্তমানে বার্সা নয়, মেসির মনোযোগ ফ্লোরিডার ক্লাব ইন্টার মায়ামি নিয়ে। একদিকে ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে মায়ামি। অন্যদিকে রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিকে আলোচনায় রয়েছেন এলএমটেন।

এপি জানিয়েছে, মেসির বর্তমান বাৎসরিক আয় প্রায় ২০.

৪৫ মিলিয়ন ডলার। যা এমএলএসের ২১টি দলের সম্মিলিত খেলোয়াড় বেতনের চেয়েও বেশি। বাংলাদেশি টাকায় এ পরিমাণ প্রায় ২৪৮ কোটি ৪০ লাখ।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক

৭ বছরের বিরতির পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব।

তবে পূজার ছুটি শেষ না হওয়ায় এখনও হয়নি অভিষেক ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ফলে দায়িত্বভার নিতে পারছেন না নবনির্বাচিতরা।

আরো পড়ুন:

গকসুর জিএস, এজিএসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি, পুনর্নির্বাচন দাবি

চাকসু নির্বাচন: দুই নারী প্রার্থীকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার পর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি। এতে নির্বাচনের পর যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখন রূপ নিয়েছে অপেক্ষার আবহে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৭ বছরের ব্যবধান ঘুচিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, প্রার্থীদের প্রচারণা আর ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার বলেন, “গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।”

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, “নির্বাচনের পরের দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যতদ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “ছুটি শেষে শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”

২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে মোট ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ভবন ধস: ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা ৯১ জন
  • বাজেট বিল নিয়ে অচলাবস্থা, শাটডাউনের পথে যুক্তরাষ্ট্র
  • পূজার ছুটির পর গকসুর অভিষেক