দুদকের চায়ের বিল এক লাখ টাকা: প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 29th, June 2025 GMT
‘‘দুদকের চায়ের বিল এক লাখ টাকা’’ শিরোনামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট আমলে নিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. সেলিমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
শনিবার রাতে দুদকের এক পরিচালকের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কোন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের আইডি কার্ড, বুম ও একাধিক সিমসহ নানা জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘‘সেলিমের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রটি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে আসছিল। উক্ত চক্রটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
দুদক জানায়, দুদকের চায়ের বিল এক লাখ টাকা শিরোনামে ২৪ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। পরবর্তীতে এটি দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হলে সংস্থাটি তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করে।
পরবর্তীতে দুদক হাসানাত আবদুল্লাহর পোস্ট আমলে নিয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মরত একজন পরিচালকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় গত রাতে প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করে চক্রের মূলহোতা সেলিমসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন পিরোজপুর জেলার বাদোখালী এলাকার সাত্তার কবিরের ছেলে মো.
দুদক জানায়, তাদের কাছ থেকে সনি ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, দুইটি পাসপোর্ট, একটি সমকাল পত্রিকার নামে আইডি কার্ড, সমকাল, এশিয়ান টিভি, এফসি টিভিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিজিটিং কার্ড, সোনালী ব্যাংকের চেক বই, ৬টি মোবাইল সেট, ১৩টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে কিছু ভুয়া সমন্বয়ক সৃষ্টি হয়েছে: দুদক চেয়ারম্যান
দেশে কিছু ভুয়া সমন্বয়ক সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা এক ধরনের অনাচার। অফিস-আদালতে এ সব ভুয়া অনাচারকারীদের প্রতিরোধে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে।’’
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘একাত্তর পরবর্তী সময়ে যেমন সনদধারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক তেমনি ২০২৪ পরবর্তী সময়েও ভুয়া কিছু সমন্বয়ক সৃষ্টি হয়েছে। যা একটি মহান আন্দোলনের প্রকৃত সমন্বয়কারীদের অসম্মানের শামিল। তাই এদের প্রতিরোধ করে প্রকৃত সমন্বয়কারীদের সম্মান ফেরাতে হবে।’’
আরো পড়ুন:
রাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইউট্যাবের বিজয় র্যালি
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
দুদক চেয়ারম্যান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, “দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতি ঢাকতে উৎকোচ নয়, বরং কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছ থেকে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় করুন।’’ একইসঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধ করে দাপ্তরিকভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে উপস্থিত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।
রংপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে দুদক চেয়ারম্যান রংপুর নগরীর স্টেশন রোডস্থ আলম নগর এলাকায় ২২ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয় তলা বিশিষ্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা ও আঞ্চলিক সমন্বয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা/আমিরুল/বকুল