কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ধরতে নবীগঞ্জের জনতার বাজারে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী। এরপর থেকে মানুষের ভিড়ে ঠাসা বাজারটি একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
রোববার দুপুরে যৌথ বাহিনী জনতার বাজারে আসামি ধরতে অভিযান চালায়। এ সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়। যৌথ বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মে এই বাজারের হাট অপসারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রায় ৭০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আসেন। তখন হাটের লোকজন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদারকে লাঞ্ছিত করেন তারা। এ বিষয়ে ১ জুন পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ৩৪ জনের নামে মামলা করেন।
গত শনিবার ভোররাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। নজর উদ্দিনের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি শেখ মো.

কামরুজ্জামান বলেন, জনতার বাজারের ঘটনায় দুপুরে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে জটিকা অভিযান চালায়। আটক ১৩ জনকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- আল আমিন, বোবা প্রকাশ, শিপন মিয়া, লিটন মিয়া, ইকবাল হোসেন, বিপুল মিয়া, সোহেল আহমেদ, নিতাই চন্দ্র দাস,  পংকজ দত্ত, আবীর আহম্মদ জয়, সাদিক মিয়া,  মোঃ রুজেল মিয়া, কাইয়ুম মিয়া ও  রায়হান মিয়া। এদের মধ্যে পাঁচজনকে ছেরে দেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। অপর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে নিশ্চিত করে পুলিশ।
যেসব আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে ইকবাল হোসেন, মোঃ রুজেল মিয়া, সোহেল আহমেদ ও কাইয়ুম মিয়ার নাম তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এক আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছিল।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তারকাদের স্বল্প উপস্থিতি, দর্শকমনে কতটা সাড়া ফেলল

অতিথি চরিত্র দেশের সিনেমায় আগেও ছিল। তবে এবারের ঈদে প্রবণতা যেন একটু বেশিই দেখা গেল। ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয় সিনেমার চারটিতে অতিথি চরিত্রে হাজির হন তারকারা। কারও উপস্থিতি দর্শককে চমকে দিয়েছে, কেউ হয়েছেন আলোচিত, কেউ আবার দর্শকের দৃষ্টিই এড়িয়ে গেছেন। অল্প সময়ে পর্দায় এই তারকারা কীভাবে প্রভাব ফেললেন—এ নিয়েই প্রতিবেদন।চঞ্চল চৌধুরী

সম্পর্কিত নিবন্ধ