যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ১৩, আতঙ্কে মানুষ
Published: 29th, June 2025 GMT
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ধরতে নবীগঞ্জের জনতার বাজারে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী। এরপর থেকে মানুষের ভিড়ে ঠাসা বাজারটি একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
রোববার দুপুরে যৌথ বাহিনী জনতার বাজারে আসামি ধরতে অভিযান চালায়। এ সময় ১৩ জনকে আটক করা হয়। যৌথ বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মে এই বাজারের হাট অপসারণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রায় ৭০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আসেন। তখন হাটের লোকজন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদারকে লাঞ্ছিত করেন তারা। এ বিষয়ে ১ জুন পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ৩৪ জনের নামে মামলা করেন।
গত শনিবার ভোররাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। নজর উদ্দিনের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওসি শেখ মো.
বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে জটিকা অভিযান চালায়। আটক ১৩ জনকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- আল আমিন, বোবা প্রকাশ, শিপন মিয়া, লিটন মিয়া, ইকবাল হোসেন, বিপুল মিয়া, সোহেল আহমেদ, নিতাই চন্দ্র দাস, পংকজ দত্ত, আবীর আহম্মদ জয়, সাদিক মিয়া, মোঃ রুজেল মিয়া, কাইয়ুম মিয়া ও রায়হান মিয়া। এদের মধ্যে পাঁচজনকে ছেরে দেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। অপর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের পর যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে নিশ্চিত করে পুলিশ।
যেসব আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে ইকবাল হোসেন, মোঃ রুজেল মিয়া, সোহেল আহমেদ ও কাইয়ুম মিয়ার নাম তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এক আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছিল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্র রাজনীতির সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়ন বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির সমন্বিত রূপরেখা প্রণয়ন বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। হল পর্যায়ে দলীয় রাজনীতি বিষয়ে গত ৮ আগস্ট শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঢাবি কর্তৃপক্ষের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনার ধারাবাহিকতায় ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত এসএমটি সভায় এ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এই কমিটি অনুমোদন করেছেন।
আরো পড়ুন:
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি সংসদের নেতৃত্বে জাহিন-রাফি
ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি বহাল থাকবে: রাকিব
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই কমিটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রচলিত ছাত্র রাজনীতির গঠনমূলক ভূমিকা বিষয়ে একটি সমন্বিত রূপরেখা সুপারিশ করবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন, ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম এবং আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া।
এর আগে, বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এবং ডাকসু কেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সাক্ষাৎ শেষে ঢাবির হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটিগুলো বহাল থাকবে বলে জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী