হ্যান্ডসেট এখন শুধু অ্যাপনির্ভর হবে না
Published: 29th, June 2025 GMT
সারাবিশ্বে এআই এখন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে দিয়েছে অপ্রত্যাশিত ও দৃশ্যমান গতি। এর আগে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা মূলত পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ দক্ষতা গুরুত্ব পেয়েছে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ফাইভজি– দুইয়ে মিলে ক্রমবর্ধমান সমন্বয় শিল্প খাতে দৃশ্যমান রূপান্তর নিয়ে আসছে। বিশেষ করে উৎপাদন খাতে ফাইভজির লো-ল্যাটেন্সি ও হাই ব্যান্ডউইথের সঙ্গে যুক্ত এআই নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
এআইসমৃদ্ধ ফাইভজি নেটওয়ার্ক তাৎক্ষণিকভাবে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে পারে, যার মাধ্যমে অনুধাবন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন– পূর্ণ চক্রটি দ্রুত সম্পন্ন হয়। শিল্প খাতে উৎপাদন ঝুঁকি কমে, অন্যদিকে সামগ্রিক দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।
চীনে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) সাংহাই আসরে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম (এমবিবিএফ) টপ টক সামিটে শতাধিক বিশেষজ্ঞ অংশ নিয়েছেন। এতে শীর্ষস্থানীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উদ্ভাবক ও শিক্ষাবিদরা বক্তব্য দেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের সমন্বয়ের ফলে যে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে, তা নিয়ে বক্তারা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অব দ্য বোর্ড ডেভিড ওয়াং বলেন, মোবাইল এআইর ব্যবহার তিনটি নতুন পদ্ধতিতে মোবাইল শিল্প খাতে প্রাণশক্তির সঞ্চার করবে।
প্রথমত, হ্যান্ডসেট এখন আর শুধু অ্যাপনির্ভর হবে না। সব ডিভাইস এআই এজেন্ট হোস্ট করতে শুরু করেছে, যা জীবন এবং কাজের প্রতিটি ধাপের মানোন্নয়ন দৃশ্যমান করবে।
দ্বিতীয়ত, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) প্রযুক্তির সঙ্গে এআই প্রযুক্তির সমন্বয় বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্বের অভূতপূর্ব সম্ভাবনা উন্মোচন করবে।
তৃতীয়ত, এআই এখন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির অপ্রত্যাশিত ও দৃশ্যমান গতি দিয়েছে। আগে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা মূলত পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ দক্ষতার ওপর গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু এখন এআই প্রযুক্তির সঙ্গে স্পেকট্রাম, শক্তির ব্যবহার, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
ইতোমধ্যে উদ্ভাবনী ব্র্যান্ড ও সহযোগীরা পাঁচটি ক্ষেত্রে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। সম্মিলিত উদ্যোগে ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহারকে অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দেবে। যার মধ্যে রয়েছে লার্জ আপলিঙ্ক ব্যান্ডউইথ, ডিভাইস ইকোসিস্টেম, মাল্টিমোডাল ইন্টেলিজেন্ট পরিষেবা,
অল-সিনারিও আইওটির সক্ষমতা ও কয়েকটি ব্যবসায়িক মডেল।
হুয়াওয়ে করপোরেট সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইসিটি সেলস অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের প্রেসিডেন্ট লি পেং বলেন, ফাইভজি নেটওয়ার্ক অভূতপূর্ব সক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এটি অপারেটরদের জন্য বহু দিক থেকে নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার পথ সুগম করবে। ফাইভজি প্রযুক্তির নেটওয়ার্কিং গতি নব্য ঘরানার উদ্ভাবনী ব্যবসার সুযোগ তৈরি করবে। অন্যদিকে, ট্রাফিকভিত্তিক আয় মডেলের বাইরে গিয়ে সরাসরি গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আয়ের উৎসে রূপান্তর করবে। বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপট বলছে, গ্রাহককে দ্রুত ও উন্নত অভিজ্ঞতা দেওয়ার আকাঙ্ক্ষাই ফাইভজি প্রযুক্তির তীব্র চাহিদা তৈরি করেছে। ক্লাউড গেমিং বা মাল্টিভিউ ইমার্সিভ স্পোর্টস স্ট্রিমিংয়ের মতো লো-ল্যাটেন্সি ও হাই ব্যান্ডউইথনির্ভর অ্যাপ্লিকেশনে ফাইভজি প্রযুক্তির নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স গ্রাহকের জন্য সহজ পেমেন্ট মডেল তৈরি করছে।
২০২৫ সালে ফাইভজি অ্যাডভান্সড প্রযুক্তির বাণিজ্যিক প্রয়োগের কাজ চলছে। বৈশ্বিক মোবাইল অপারেটর, সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ ও নির্ধারকদের সঙ্গে একযোগে কাজ চলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক উদ্ভাবন ব্যবহার করে টেলিকম পরিষেবা, অবকাঠামো ও পরিচালনা পদ্ধতিকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোক্তারা এখন দূরদর্শী কাজ করছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত ন টওয় র ক ব যবহ র ব যবস ন টওয ফ ইভজ
এছাড়াও পড়ুন:
রবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, যমুনা সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক
যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে হওয়া ব্লকেড ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ১ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে এ কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিমে মহাসড়ক ব্লকেড করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন।
আরো পড়ুন:
দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা
উদ্বোধনের আগেই ঝুঁকিতে পড়ছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু
এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচীর কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ব্লকেড প্রত্যাহারের পর ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, “১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। এতে উভয় লেনেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ১ ঘণ্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করার পরে সড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আজকে রেল ও সড়ক পথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধের কারণে সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করার পর মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের (ডিপিপি) অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ৬ মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পূণরায় আন্দোলন শুরু হয়।
ঢাকা/রাসেল/মেহেদী