চার বছরেও শেষ হয়নি সাড়ে ৩ কোটি টাকার ছাগলছিড়া সেতু নির্মাণকাজ। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় রডগুলোতে পড়েছে মরিচা। নির্মাণাধীন সেতুটির অবস্থান ফুলবাড়িয়া উপজেলার ছাগলছিড়া এলাকার রাঙ্গামাটিয়া খালের ওপর।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্যমতে, ২০২১ সালে সেতু নির্মাণের জন্য রাঙ্গামাটিয়া খালের ওপর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সকে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এক বছর সময়ের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা, কিন্তু ৪ বছরেও শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত চারবার সময় বাড়িয়ে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রডে ধরেছে মরিচা। কবে নির্মাণকাজ শেষ হবে বলতে পারেনি স্থানীয় এলজিইডি অফিস।
স্থানীয় বাসিন্দা মোখলেছুর রহমানের ভাষ্য, সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী, রাধাকানাই, গোবিন্দপুর, ধুরধুরিয়া ছলিমপুর গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কাঠের সেতুর ওপর দিয়ে ফুলবাড়িয়ার শিক্ষার্থীরা ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে থাকেন। মাসখানেক আগে চলাচলের জন্য নির্মাণ করা কাঠের সেতু থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে আহত হন পশু চিকিৎসক বজলুর রহমান। এ ছাড়া পারাপার হতে যেয়ে অনেকে পা ভেঙে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪ বছর ধরে কাজ ফেলে রাখায় রডগুলোতে মরিচা ধরেছে।
এলাকার বাসিন্দা তোফায়েল আহমেদ জানান, ফুলবাড়িয়া ও ত্রিশাল উপজেলায় সড়ক যোগাযোগে সহজ সংযোগ স্থাপন করে কাঠের সেতুটি। এখানে নির্মাণাধীন পাকা সেতুর কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি। এ কারণে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় গণঅভ্যুত্থানে নিহত আমিরুল ইসলামের লাশ এক কিলোমিটার নিতে হয়েছে কাঁদে করে।
অভিযোগ উঠেছে, সেতুটি নির্মাণ না করায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে দুই উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, বন্যা ও করোনা মহামারীর কারণে সেতু নির্মাণে চারবার সময় বাড়ানো হয়েছে। দ্রুততম সময়েই আবার কাজ শুরু হবে বলে দাবি তাঁর।
এলজিইডির ফুলবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য সাতবার চিঠি দিয়েছি। এ পর্যন্ত সেতুর একটি গার্ডার নির্মাণ করেছে মাত্র। কিন্তু ঠিকাদারকে বাকি কাজ করতে তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের কথায় কর্ণপাত করছেন না। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বছর ও শ ষ ৪ বছর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এটাই ‘শক্তিশালী’ স্কোয়াড, সুযোগ দেখছেন জামাল

২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলেছেন জামাল ভূঁইয়া। এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ৬ ম্যাচ। কিন্তু এই ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। এবার অন্তত সেই গেরো খুলতে চাইছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

জামালের চোখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই এবার ভারতকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে।’

২০২৫ সালে সাত ম্যাচ খেলে শুধু ভুটানের সঙ্গে জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে বছরটা অন্তত জয় দিয়ে শেষ করার প্রত্যাশা জামালের, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’

জয় দিয়ে বছর শেষ করতে চান জামাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ