যবিপ্রবিতে মলিকিউলার লাইফ সায়েন্সে উদ্ভাবন নিয়ে সম্মেলন
Published: 30th, June 2025 GMT
জৈব রসায়ন, অনুজীববিজ্ঞান, ঔষধ শিল্প, সামদ্রিক জৈববিজ্ঞানসহ নানা ক্ষেত্রে মলিকিউলার জীববিজ্ঞানের অগ্রসর ও উন্নয়ন নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারীতে প্রথমবারের মতো ‘ইনোভেশন ইন মলিকিউলার লাইফ সাইন্স’ শিরোনামে এ সম্মেলনের আয়োজন করে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে ২ অনুষদের উদ্যোগে প্রথম জাতীয় সম্মেলন
রাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু: প্রথমদিনে ২১৬ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি দেশ ও বিশ্বের সম্পদ। এখান থেকে বিশ্বমানের দক্ষ জনবল তৈরি হয়। গবেষণায় অবদান রাখার মাধ্যমে বিশ্বকে নতুন কিছু আবিষ্কার উপহার দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ। এজন্য তোমাদের পরিশ্রমী হতে হবে। নিজেদেরকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে তোমরা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারবে।”
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাখেন জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএমবি বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা নূর ইসলাম।
অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, আইসিডিডিআরবির সহযোগী সায়েন্টিস্ট ড. মোছা. নূরজাহান বেগম, যবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের পোস্ট ড. অব ফেলো ড. মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা।
সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে শুরু হয় ওরাল ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন। বিকেল ৪ টায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ বব জ ঞ ন ব প রব
এছাড়াও পড়ুন:
মোমবাতি প্রজ্বালনে শহীদদের স্মরণ করলো ছাত্রদল
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেছে ছাত্রদল। ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার রাত ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শিরোনামে এ কর্মর্সূচি পালন করেন সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী। একইসঙ্গে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আসিফুজ্জামান রিপন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
৩৬ দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন: বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এটি শুধু মোমবাতি প্রজ্বলন নয়, গণতন্ত্রের নতুন যাত্রার সূচনা। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় ছিলো ভয় আর আতংকের প্রতীক; আজ তা আশার আলো ছড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা ছাত্রদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। আজকের এই আলোক প্রজ্বালনের মাধ্যমে আমাদের ৩৬ দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা হলো।’
আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘জুলাই মাসে ছাত্রদলের এই আয়োজন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বহন করে। একদিনে এই আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। হাজারো মানুষের রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে এটি গঠিত হয়েছে। আজ আমরা খুনি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ দেখছি। শহীদ ওয়াসিম ও সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না।”
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। কিন্তু ছাত্রদল রাজপথে এককভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। হামলা-মামলার সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই।’
এই কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতৃত্বে শুরু হলো ৩৬ দিনব্যাপী একাধিক আন্দোলন-প্রচারণা ও স্মরণ কর্মসূচি। যা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিস্তৃত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।