জ্বালানি রূপান্তর এগিয়ে নিতে তরুণদের সম্পৃক্ততা জরুরি
Published: 30th, June 2025 GMT
টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা আগের তুলনায় আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। কিন্তু রূপান্তরে বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছে। তাই পরিবর্তনকে এগিয়ে নিতে জ্ঞান নির্ভর তরুণদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।
‘এনার্জি টক: ইয়ূথ ফর জাস্ট ট্রানজিশন’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অডিটোরিয়ামে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ব্রাইটার্স, ক্লাইমেট ফ্রন্টিয়ার, ইকো নেটওয়ার্ক, এনভায়রনমেন্টাল সেপার্স নেটওয়ার্ক, গ্লোবাল ল’ থিঙ্কারস সোসাইটি, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, ওএবি ফাউন্ডেশন, সচেতন ফাউন্ডেশন, ইয়ং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ইউক্যান), ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) এর লিড এনালিস্ট শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে আমদানি নির্ভর জ্বালানী শক্তির দিকে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য, কার্বন-নিঃসরণ কমিয়ে জ্বালানি চাহিদা মিটানো। আমরা বাসাবাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা গড়ে পরিবেশ রক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।
সেন্টার ফর রিনিউএবল এনার্জি সার্ভিসের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত গ্যাসের চাহিদা বাড়তেই থাকবে, তারপর কমবে। সরকার পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। ভবিষ্যতে আমরা পারমানবিক বিদ্যুৎ পাব। কিন্তু তখন সরকারকে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে হবে।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, বাংলাদেশে ২০১০ সালে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লানে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলে, এদেশের জলবায়ু যোদ্ধারা সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য আন্দোলন শুরু করেন, কারণ এতে সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে হরিণের মাংস, বিষ ও কাঁকড়াসহ ৮ শিকারি আটক
বাগেরহাটের সুন্দরবন অংশ থেকে সাড়ে ১৩ কেজি হরিণের মাংস, বিষ ও ১৮ কেজি কাঁকড়াসহ ৮ হরিণ শিকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে সুন্দরবনের হারবারিয়ায় দিঘির খাল সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
সেসময় তাদের কাছে থাকা সাড়ে ১৩ কেজি হরিণের মাংস, একটি হরিণের মাথা, চারটি পা, একটি হরিণ ধরার ফাঁদ, জাল, ১৮ কেজি অবৈধ কাঁকড়া, ৫ লিটার বিষ এবং দুটি নৌকা জব্দ করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হরিণ ও অবৈধ কাঁকড়া শিকারের সাথে জড়িত একটি চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
জব্দকৃত হরিণের মাংস, কাঁকড়া, বিষ, ফাঁদ জাল, নৌকা এবং অন্যান্য আলামতসহ আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ফরেস্ট অফিসের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/শহিদুল/এস