৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ১৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য কমিশন সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।

পিএসসি বলেছে, যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না পাওয়ায় কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের ২০টি পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি। মনোনয়নসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। পিএসসি জানিয়েছে, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও সব প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনীত করা সম্ভব হয়নি। যেসব প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি, তাঁদের নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের বিধান অনুযায়ী সরকারের কাছ থেকে শূন্য পদে নিয়োগের অধিযাচন প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে মেধাক্রম ও বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণ করে সুপারিশের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসস

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএস : ফল নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা, অনিশ্চয়তায় ১,৩১৮ প্রার্থী

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল গত ৩০ জুন প্রকাশ করে। ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের বিপরীতে সুপারিশ করা হয় ১ হাজার ৬৯০ জনকে। তবে তাঁদের মধ্যে ৩৭২ জন আগেই একই বা সমতুল্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন (রিপিট ক্যাডার)। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ, সমালোচনা ও বিতর্কের পর পিএসসি বিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে রিপিট ক্যাডারের জায়গায় মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুপারিশ করা যায়।

কিন্তু বিধি সংশোধনের প্রশাসনিক জটিলতায় প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়নি। ফলে রিপিট ক্যাডার–সম্পর্কিত নয়, এমন ১ হাজার ৩১৮ জন প্রার্থীর নিয়োগও শুরু হয়নি। সাধারণত ফল প্রকাশের পরপরই ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশনসহ পরবর্তী ধাপ শুরু হয়। এবার ফল প্রকাশের পরও ফাইল পিএসসিতেই আটকে আছে।

৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল ২৭ মে ২০২২। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়।

প্রার্থীদের অভিযোগ, রিপিট ক্যাডার–সংক্রান্ত বিধি সংশোধনে দেরি হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। অনেকের বয়সসীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কেউ মানসিক চাপে ভুগছেন।

৪৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দিনে ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার কথা, নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর নিমিত্তে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা সেখানে ফাইল এখনো পিএসতিতেই আটকে রয়েছে। কবে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম শুরু হবে, কবে আমরা জয়েন করব, জানি না। বিধি সংশোধন–সংক্রান্ত জটিলতায় নিয়োগ কার্যক্রম আটকে থাকায় সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

বিসিএসে পিএসসি সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা দ্রুত রিপিট ক্যাডারবিহীন ১ হাজার ৩১৮ জনের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিপিট ক্যাডার পরিহার করার লক্ষ্যে বিধি সংশোধনের জন্য আমরা প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যে কাজ অনেকটা এগিয়েছে। সেখান থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আমরা আশা করছি শিগগিরই বিধি সংশোধন হবে। বিধি সংশোধিত হলে রিপিট ক্যাডার সংকটের সমাধান হবে। তাই আমরা বিধি সংশোধনের অপেক্ষায় আছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যত দ্রুত বিধি সংশোধন করে দেবে, আমরা তত দ্রুত মনোনয়ন পাঠাতে পারব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৪তম বিসিএস : ফল নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা, অনিশ্চয়তায় ১,৩১৮ প্রার্থী